চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিন পার্বত্য জেলায় এ বছর পাসের হার সবচেয়ে বেশি বান্দরবানে। আর পাসের হার সবচেয়ে কম খাগড়াছড়ি জেলায়। বান্দরবানে পাশের হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, আর খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তবে সার্বিক বিচারে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা বান্দরবান, উপজেলা, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার বেড়েছে। চট্রগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বান্দরবানের ৪২ টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪৫১৫ জন পরীক্ষার্থী।
জেলায় বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৪৩ জন, পাস করেছে ১৪০ জন। এবারে “এ+” পেয়েছে ৬৬ জন এবং “এ” গ্রেড পেয়েছে ৪৫ জন,অকৃতকার্য ৩ জন, এতে পাশের হার ৯৭.৯০%। এতে প্রতিষ্ঠানটি ফলাফলে জেলার সর্ব শীর্ষে রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। আর বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে যে তিনটি পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকা রয়েছে, সেখানেও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তা বেড়েছে সরকারের গৃহীত শিক্ষামুখী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে। বিশেষ করে নারীশিক্ষা এবং স্বল্পোন্নত এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী ও পড়ামুখী হয়েছে। তাই করোনা পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীরা সাফল্য দেখিয়েছে।
বান্দরবান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী নাঈমা সুলতানা বলেন, স্কুলের শিক্ষক, মা-বাবাসহ সকলের সহযোগিতায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। এখন ভালো একটা কলেজে ভর্তি হতে পারব বলে আশা করি।