থানচিতে এক বছরে তিনবার ফাটল কালভার্ট সেতুতে

purabi burmese market

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে কালভার্ট সেতু নির্মাণ করায় একটি কালভার্ট সেতু গত এক বছরে ৩বার ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার থানচি উপজেলা সদর হতে দেড় কিলোমিটার দূরত্বে ছাংদাক পাড়া যাওয়ার রাস্তার উপর কয়েকটি কালভার্ট সেতু নির্মানের সময় স্থানীয় বালি ও পাথর ব্যবহার করার কারনে গত এক বছরে সেতুতে ৩ বার গর্ত ও ফাটল ধরেছে ।

থানচির সদর ইউপি’র মহিলা সদস্যা ডলিচিং মারমা বলেন, গতবছর সেতুতে প্রথম ফাটল ধরার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে সংস্কার করা হয়েছিল। আবার একই স্থানে গর্ত বা ফাটল ধরার কারনে তা দ্রুত সংস্কার করতে হবে।

থানচি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) এর সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে অর্থায়নে উপজেলা সদর হতে ছাংদাক পাড়া যাওয়ার রাস্তার উপর গত কয়েক বছরের মধ্যে ৩টি কালভার্ট সেতু নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটিতে ২৭ লক্ষ টাকা করে মোট ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সেতু নির্মাণ ক্রুটিপূর্ণ হলেও শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যে কালভার্ট সেতুটি ফাঁটল ধরেছে সেটি স্থানীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও যুব সমিতি’র সভাপতি, ঠিকাদার নুমংপ্রু মারমা কে বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল ।

এই ব্যাপারে জিনিংঅংপাড়ার বাসিন্দা চামলো ম্রো বলেন, সেতুটি ঠিক না থাকার কারনে আমাদের কৃষি পণ্য বাজারে আনতে না পেরে নষ্ট হচ্ছে।

dhaka tribune ad2

আরো জানা গেছে, কালভার্ট সেতু দিয়ে জিনিংঅংপাড়া, শাহজাহান পাড়া, তংক্ষ্যং পাড়া, হাবরু হেডম্যান পাড়া, ছাংদাক পাড়াসহ অর্ধশতাধিক পাড়াবাসী যাতায়াত করেন। তাছাড়া জুমিয়াদের জুম ও বাগানের আম, কাজুবাদাম, মার্ফা, আদা, হলুদ, কলা আনা নেওয়া করে। ভাঙ্গা কালভার্টের কারনে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারার কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা।

এই ব্যাপারে থানচির উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, কালভার্ট সেতুটিতে কয়েকবার ফাঁটল ধরার বিষয়ে আমি অবগত নয়। সাংবাদিকদের মাধ্যমে এখন অবগত হয়েছি, ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাবো।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।