বান্দরবান জেলা পরিষদে অর্থায়নে, স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বান্দরবানে থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক য়ংলং পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফিল্ড হাসপাতাল অর্থাৎ ভ্রাম্যমান হাসপাতাল আজ বৃহস্পতিবার থেকে চালু করা হবে। উক্ত এলাকার ৭ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ম্রো সম্প্রদায়ের পাড়া গুলিতে হঠাৎ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে আক্রান্তদের সুস্থ না হওয়ার পর্যন্ত এই হাসপাতাল পরিচালনার কথা জানিয়েছে বান্দরবানের সিভিল সার্জন নিহার রজ্ঞন নন্দী।
স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক এর দুর্গম আন্দারমানিকের ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব এক সপ্তাহ ব্যবধানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
গত ৭-১৫ জুন পর্যন্ত ৯ দিনের মোট ৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্তদের বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাছে। বর্তমানে ডায়রিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত নেই। আক্রান্ত ৫০-৬০ জনের মধ্যে ৯ জন মারা গেছে, ১০ জন সুস্থ হয়েছে। সম্পুর্ন সুস্থ এবং স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া মৃতদের মধ্যে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বড় মদক সীমান্তের মেনতাং পাড়া বাসিন্দা ও পাড়ার প্রধান মেনতাং কারবাড়ী (৪৮), ক্রাইঅং ম্নো (১৮), লংথাং পাড়া বাসিন্দা লংপিং ম্রো (৫০), ঙারেসা পাড়া বাসিন্দা প্রেনময় ম্রো (১২), সংদক ম্রো (২২), সংওয়ো ম্রো (৩৫), রুংরাক ম্রো (৫০), প্রেলি ম্রো (৩৬), মংঞোচাই মারমা (২২), উষামং পাড়া বড় মদক ডাযরিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ আরও বলেন, ও অঞ্চলে শুকনো মৌসুমে জুম কাটা এবং জুমের ঘাস মারার জন্য বিষাক্ত কীটনাষক ব্যবহার, স্যানিটেশন না থাকায়, জোপ জঙ্গলে মলমূত্র ফেলা সহ অপরিস্কার অপরিছন্ন ছিল। সে ময়লা অবর্জনা গুলি সামান্য বৃস্টিতে নদী ঝিড়ি ছড়াতে পরে। ঔ ছড়া নদীর পানির ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে।
আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা খাওয়ার পানি গুলি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ওঁর স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ানো সহ স্বাস্থ্য সচেতনতা জন্য হাতে নাতে শিখাইয়ে দেয়ার পরে ডায়রিয়া নতুন করে হচ্ছে না।
তিনি আর ও জানান, বান্দরবান জেলা পরিষদে অর্থায়নের রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদকের একটি মিনি হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, প্রতিটি পাড়ায় একটি করে মোট ৩০ টি গভীর নলকুপ (ডিপওয়েল) স্থাপন, ১০ শয্যার মিনি হাসপাতালে একজন এমবিবিএস চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল ঔষধ সরবরাহ করা হবে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতা জন্য নাটক প্রদর্শন, (টকি সিনেমা) সভা সেমিনার প্রজন্মদের নিয়ে প্রশিক্ষন ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানালেন তিনি।