থানচিতে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় ১৭জন নিহতদের স্বরণে গড়া স্মৃতিসৌধ যেভাবে আছে

NewsDetails_01

বান্দরবানে থানচি হতে বলিপাড়া রাস্তায় ১১ কিলোমিটার শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বরণে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে মোজাইক করা স্মৃতিসৌধটি অযত্ন অবহেলা ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যেন দেখার কেউ নেই।

জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৪ জানুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় থানচি থেকে বান্দরবান সদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে একটি যাত্রীবাহী বাস। থানচি সড়কে ১১ কিলোমিটার শিলা ঝিড়ি (সংরেক্ষ্যং) নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়। যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ৩০০ মিটার পাহাড়ী ঝিড়ি (খাদে) পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সদর ইউনিয়নের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা, তার দৌহিত্র দুই মেয়েসহ ১৭ জন নিহত হন। বাস চালকসহ ১৪ জন আহত হন। যা থানচির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোকাবহ ঘটনা। এই ঘটনা নাড়া দেয় বান্দরবানবাসীকে।

একই বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বরণের অংশ হিসাবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ বিবেচনা করে নিহতদের স্বরণে কিছু করার। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনের মাসিক সমন্বয় সভা সাংবাদিক অনুপম মারমা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা আমলে নেন। একই বছরে প্রশাসনের অর্থায়নের সড়ক দুর্ঘটনা নিহতদের স্বরনে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করে।

NewsDetails_03

সেই স্মৃতিসৌধ বিগত ৯ বছর ধরে অবহেলিত, ময়লা অবর্জনা ও অরক্ষিত অবস্থায় জঙ্গলে পরিনত রয়েছে। মৃত মুক্তি যোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা উহ্লাচিং মারমা মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে বেঁচে যায়।

থানচি হেডম্যান পাড়া বাসিন্দা ডথুইনু মারমা বলেন, সেদিন আমার বাবা, আমি আমার ছোট বোন ৩ জন গোপালগজ্ঞের স্কুলে পড়াশুনা জন্য সকাল ৭টায় বান্দরবানের উদেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমি আহত হলেও আমার ছোট বোন ও বাবা প্রান হারান। আমি যখনি বান্দরবান থানচি আসা যাওয়া করি তখনি এই স্মৃতিসৌধ দেখলে বাবা আর বোনের কথা মনে পড়ে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতারা আমাদের পরিবারকে দেখভাল না করলেও কোন দু:খ নেই। স্মৃতিসৌধটি ময়লা অবর্জনা অরক্ষিত দেখলে কষ্ট পায়।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি বলেন, আমি স্মৃতিসৌধটা দেখি কিন্তু তার ইতিহাস জানা নেই। সাংবাদিক অনুপম মারমা’র মাধ্যমে জানতে পেরেছি। উপজেলা প্রশাসন স্মৃতিসৌধটি আরও সুন্দর করবে এবং কয়েকদিনের মধ্যে আর অরক্ষিত থাকবে না। নিহতদের নাম খুঁজে তাদের নামে একটি বিলবোর্ড তৈরী করার চেষ্ট করবো।

আরও পড়ুন