বান্দরবানে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের শান্তিতে বসবাস, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, উন্নতি এবং মঙ্গল কামনায় থানচি উপজেলার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের গঙ্গা পূজা।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভোরে থানচি সার্বজনীন গঙ্গাপূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে একটি মহাশোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাঙ্গু নদীর চরে গঙ্গা পূজা মন্ডপে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় মহাশোভাযাত্রায় থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খামলাই ম্রো, থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার,প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, হেডম্যান কারবারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা,শ্রী শ্রী কালি মন্দির পরিচালনা কমিটি সভাপতি পলাশ ধর, গঙ্গা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি টিটু বিশ্বাস,সম্পাদক শিবু কর্মকারসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সনাতনী সমাজের নারী ও পুরুষ ভক্তরা সাঙ্গু নদীতে জড়ো হয়ে গঙ্গা মায়ের পূজা করেন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গঙ্গা স্মানে অংশ নেন।
এদিকে মহাশোভাযাত্রার পাশাপাশি গোধুলি লগ্নে গঙ্গাপূজার অধিবাস শেষে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, সন্ধ্যায় আরতি এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং নানা ধর্মীয় আয়োজন শেষে আগামীকাল (বুধবার) দুপুরে শংঙ্খ নদে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে এবারের গঙ্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
প্রসঙ্গত: প্রতি বছর সনাতনী সম্প্রদায়ের আয়োজনে থানচি উপজেলায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের সহ-অবস্থান ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জুমচাষীদের আয়ের উৎস বৃদ্ধি এবং সকলের মঙ্গল কামনায় সাংগু নদীর চরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়, আর বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বাংঙালির, মারমা, চাকমা, ম্রো,বম, ত্রিপুরা, খিয়াং,পাঁখোয়াসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে এই মহা মাঙ্গলিক আয়োজনে সামিল হয়।
এবারে ১৮ তম পুজায় গঙ্গা মায়ের সাথে মহা দেব, মহাভারতে শ্রী রামায়ন- সীতা দেবী, যমুনা দেবী, ভগিরত ও গঙ্গার মায়ের ভক্ত ঋশি বিশ্বগৌত্র পূজায় প্রতিমায় স্থান করে নিয়েছে।