থানচির ধসে যাওয়া কালভার্ট সেতু সংস্কার পাহাড়বার্তা’র সংবাদের পর

NewsDetails_01

বান্দরবানে “থানচিতে নির্মানের ৩ বছরেই কালভার্ট সেতুতে ধস !” শিরোনামে গত ১৯ ডিসেম্বর পাহাড়ের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাহাড়বার্তা’য় সংবাদ প্রকাশ করা হলে আজ মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ৫দিনে মাথায় থানচি উপজেলার ছাংদাক পাড়া নিবাসী সমাজ সেবক নুমং প্রু মারমা কালভার্ট সেতুতে ধসে যাওয়া অংশ নিজের অর্থায়নে সংস্কার করেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা কালভার্ট সেতুটি সংস্কারের সময় সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় সংস্কার কাজের শ্রমিক মোঃ জাকের মিস্ত্রি (৪০)বলেন,আমাকে ছাংদাক পাড়া নিবাসী নুমং প্রু মারমা সেতুটি সংস্কার করার জন্য নিয়োগ দেন, আমি সেটি চলাচলের উপযোগী করেছি।

NewsDetails_03

জানা যায়,নির্মানের ৪ বছরের মাথায় ছাংদাক পাড়া কালভার্ট সেতুটিতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৫০/৬০ গ্রামের মানুষ পাঁয়ে হেঁটে প্রতিদিন উপজেলা সদরে থানচি বাজার ও সরকারি বেসরকারি অফিস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানান কাজের যাতায়াতে জনগুরুত্বপূর্ণ বান্দরবানে থানচি উপজেলায় ছাংদাক পাড়া অভ্যন্তরীন সড়কটি ব্যবহার করেন। সড়কে মাঝখানে মোট ৪টি কালভার্ট সেতু রয়েছে,একটিতে অল্প আকাঁরে ছোট গর্ত হলেও পাড়ার নিকটবর্তী সেতুতে বিশালাকার গর্ত তৈরী হয়। ফলে যান চলাচল ও স্থানীয়দের যাতায়তে দূর্ভোগ নেমে আসে।

এই ব্যাপারে ছাংদাক পাড়া নিবাসী সমাজ সেবক ও উপজেলা যুব সমিতি সভাপতি নুমং প্রু মারমা পাহাড় বার্তাকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ভারী যানবহন চলাচল করার ফলে কালভার্ট সেতুটি মাঝ খানে অংশ ধসে পড়ে। পাহাড়বার্তা’য় প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে পড়লে আমি স্বেচ্ছায় এটি সংস্কার করেছি।

প্রসঙ্গত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অর্থয়নের ২০১৪-১৫ অর্থসালে ৩১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১২৯ টাকা ব্যয়ের উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের তত্ত্ববধানে টিএন্ডটি পাড়া সংযোগ রাস্তায় ছাংদাক পাড়া ঝিড়ির উপর কালভার্ট সেতু নির্মান করা হয়েছিল । গত কয়েক বছর যাবৎ অভ্যন্তরীণ সড়কে মোটর সাইকেল, সিএনজিসহ হালকা যানবাহন চলছিল, এর মধ্যে কালভার্ট সেতুর মাঝ খানের অংশ প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে ।

আরও পড়ুন