থানচি থানায় যাওয়ার রাস্তায় যত ভোগান্তি

ঠিকাদারের অবহেলা

NewsDetails_01

ঠিকাদার যথা সময়ে কাজ শেষ না করার কারনে বান্দরবানে থানচি উপজেলায় প্রবেশের প্রধান ফটক হতে থানচি থানা, কৃষি, সোনালী ব্যাংক ও ব্র্যাক কার্যালয়ের পাঁয়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা এখন স্থানীয়দের জন্য চরম ভোগান্তির কারন। সামান্য বৃস্টি হলে রাস্তার কাঁধা মাটিতে মানুষের চরম ভোগান্তি শেষ নেই।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক, সরকারী বিভিন্ন সেবা নিতে আসলে উপজেলা সদরে প্রথম প্রবেশ পথের সামনে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ন সোনালী, কৃষি ব্যাংক, এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, থানা পুলিশ ভবনসহ অন্যান্য সরকারী স্থাপনা। সামান্য বৃস্টি হলে সেখানে যেতে হয় কাঁদা মাটির সড়ক পেরিয়ে। আর সময় লাগে অন্তত ৩০ মিনিট।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানের উপজেলা প্রবেশ পথ প্রধান সড়ক হতে ছাংদাক পাড়া পর্যন্ত সড়কটি কার্পেটিং চলমান নির্মান কাজের ঠিকাদার সংস্থা ২০০ গজের মতো বাস্তবায়ন না করে রেখে যান গত মার্চ এপ্রিল দিকে। মে হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত অবিরাম বৃস্টিতে ফেলে যাওয়া রাস্তা কাঁদা মাটি জমে গেলে এ অবস্থা সৃস্টি হয়েছে।

থানচি কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক আসিপ হাসান বলেন, বয়স্ক, বিধবা, ভাতা নিতে গ্রাহকরা আমাদের ব্যাংকে আসে, আমরা ও অল্পটুকু রাস্তার কারনে চরম কস্ট পাচ্ছি।

NewsDetails_03

সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো: হানান সিকদার বলেন, বাসা থেকে ব্যাংকে আসতে যে কস্ট পায়, কিন্তু গ্রাহকরাতো মানবেনা তাই কস্ট হলেও আসতে হয়।

থানচি থানা ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সূদ্বীপ রায় বলেন, উপজেলা সদরে প্রধান ফটকের ২০০ গজের রাস্তা জন্য আমরা পুলিশের জিপ গাড়ি, মোটরবাইক, চলাচল করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন শৃংঙ্খলা জনিত জরুরী কাজে আমাদের জিপ গাড়ি কস্ট করে হলেও নেয়ার প্রয়োজনে চাকা, ব্রেকসু, বদলাইতে হয়েছে ৫/৬ দিনে একবার করে। এমন ভোগান্তি অন্য কোন থানা হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রকৌশলী মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, চলমান নির্মান কাজের নিয়োজিত ঠিকাদারকে বলছি জরুরীভাবে রাস্তার কাজ শেষ করতে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে হাত দেবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে ও ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ দ্রুত করার জন্য বলেছি আর না করলে বিল বন্ধ করে অন্যজনকে নিয়োগ দেব।

আরও পড়ুন