দীঘিনালায় অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ থাকা নির্মাণ কাজের তদন্ত

অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ থাকা খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রশিক নগর দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

আজ ২৬ মে (বুধবার) বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অ.দা.) মো. আসিফুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) রজনী কুমার চাকমা রশিক নগর দাখিল মাদ্রাসায় সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন৷

এ সময় অভিযোগকারী এম ইদ্রিছ আলী, নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি আফজাল হোসেন, স্থানীয় অবিভাবক আলী হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আবদুর রশিদ সহ অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসী নির্মাণকাজে ঠিকাদারের অনিয়ম ও দ্বায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল) মো. সাইফুল ইসলামের অবহেলা তুলে ধরেন।

NewsDetails_03

অভিযোগকারীরা বলেন, ভবনটির বেইজ ঢালাইয়ের পর গর্ত ভরাট করা হয়েছে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে। ঢালাইয়ে সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট ব্যবহার না করে স্বল্প সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ছাঁদ ঢালাইয়ের সময় সিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত বালু ও কংকর ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বায়িত্বরত মিস্ত্রি আফজাল হোসেনকে ঠিকাদার ১ হাজার বস্তা সিমেন্ট বাচিয়ে দেওয়ার কথা বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এ সময় আফজাল হোসেনকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

এ সময় সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স’র দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপ ঠিকাদার আবদুল কাইয়ুম। তবে খাগড়াছড়ি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অ.দা.) মো. আসিফুর রহমান বলেন, যেহেতু অভিযোগ গুলো মৌখিক সেহেতু অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে বিষয়টি আরোও খতিয়ে দেখতে হবে।

তদন্তের মূল দ্বায়িত্বে থাকা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা বলেন, কাজটি মূলতঃ চট্টগ্রামের ইউনুস এন্ড ব্রাদার্সকে প্রদান করা হয়েছে। তবে উপ ঠিকাদার আবদুল কাইয়ুম’র বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন কাজে নানা অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কোন প্রকার অনিয়মের সাথে দ্বায়িত্বরত প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন