দীঘিনালায় ত্রাণের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলাধীন ৩নং কবাখালী ইউনিয়নে ত্রাণের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা না মেনে ৩-৪ কেজি করে চাউল দিচ্ছে ওয়ার্ড সদস্যরা।

জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত চাউল থেকে ৩ নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ২ টন চাউল বরাদ্ধ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ১ টন চাউল যথাযথভাবে বিতরণ হলেও আরেক টন চাউল বিতরণে মানা হয়নি কোন নির্দেশনা। আর এ অভিযোগের তীরটি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কবাখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আবছার মোনাফের দিকে।

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হতে ১ মেট্রিক টন চাউল পেয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা ৩টি ওয়ার্ডে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ২ নং ওয়ার্ডে ৩৫০ কেজি, ৪ নং ওয়ার্ডে ৩৫০ কেজি এবং ৫নং ওয়ার্ডে ৩০০ কেজি চাউল দেওয়া হয়েছে। এখানে যারা বেশি উপযুক্ত তাদের ১০ কেজি করে চাউল দিতে বলা হয়েছে। ৪ বা ৫ কেজি করে চাউল দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া ৫ কেজির মধ্যে আরও ১ কেজি কম দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা দেখছি।

অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গেলে পূর্ব হাচিন সন পুর এলাকার জাএদা বেগম বলেন, আমি ৪ কেজি চাউল পেয়েছি। ১০ কেজি চাউল পেলে আমার খুব উপকার হত। একই এলাকার ফিরোজ মিয়া বলেন, আমাদের এ এলাকায় কেউ চাউল পায়নি। যারা পেয়েছে তারা সবাই মেম্বারের এলাকার। সেখানেও যারা পেয়েছে ৩-৪ কেজি করে পেয়েছে। শাহিনা আক্তার বলেন, আমাকে বলেছে আড়াই কেজি চাউল দিবে। এই আড়াই কেজি চাউল দিয়ে আমি কি করব? তাই আমি চাউল আনতে যাইনি।

NewsDetails_03

৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাফিয়া বেগম বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে জনপ্রতিনিধিদের উচিত নিজেদের অর্থ খরচ করে জনগণের পাশে দাড়ানো। তা না করে সরকারের বরাদ্ধ দেওয়া চাউল বিতরণেও তারা অনিয়ম করছে। জনগনকে চাউল কম দিয়ে নিজদের আখের গুছাতেই ব্যস্ত তারা।

৪ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আবছার মোনাফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৪ কেজি নয় আমরা ৫ কেজি করে চাউল দিয়েছি। তালিকা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, না আপনাকে তালিকা দেখানো যাবেনা। যাদেরকে চাউল দিয়েছি তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন।

৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সামসু রানা বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। আমি প্রতিজনকে ৫কেজি করে চাউল দিয়েছি। আমার কাছে সকলের তালিকাও আছে।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, চাউল ১০ কেজি করে দিতে হবে। ৫ কেজি বা ৩ কেজি চাউল দেওয়ার বিধান নেই। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ বা কোন অপব্যবহার করলে আমরা অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন