খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নাম শুনলেই শিউরে উঠে গ্রাহকরা। ট্রান্সফরমার স্থাপনে এলাকাবাসীদের থেকে অর্থ আদায়, মনগড়া মাসিক বিল সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দ্বায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে। তারমাঝে বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এখন নিত্যদিনের রুটিন।
অভিযোগ রয়েছে বহুদিন ধরে দীঘিনালা উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। সামান্য ঝড়ো হাওয়া বা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ ভেলকিবাজিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ ভোগান্তি সঙ্গে নিয়েই যুগ যুগ কাটিয়ে দিচ্ছেন তারা।
উপজেলার কবাখালীর জামাল হোসেন বলেন, সাধারণত ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে সরকারিভাবে নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে সময় লেগে যায়। তাই বেসরকারিভাবে দ্রুত নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে গাড়িভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়।
রশিক নগর এলাকার মনসুর আলম হিরা বলেন, নতুন লাইন স্থাপনে কিছু দালালচক্র বিদ্যুৎ বিভাগের নাম ভাঙিয়ে এলাকাবাসী থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের খতিয়ে দেখা উচিৎ।
থানা পাড়া এলাকার বশির আহমেদ রাজু বলেন, আমার মিটারে বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে মোট ১৪শ ইউনিট কিন্তু এ পর্যন্ত ১৬শ ইউনিটের বিল জমা দিয়েছি। বিষয়টি কতৃপক্ষকে জানালে পরবর্তীতে ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে বিল নিয়ে ভোগান্তির বিষয়টি আরও কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। মোটকথা বিদ্যুৎ ভোগান্তি থেকে রেহাই চায় এলাকাবাসী।
দীঘিনালা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, জনবল সংকটের কারনে মিটার দেখে বিল করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। তারপরও আমরা গ্রাহকদের মিটার অনুযায়ী বিল করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আর লাইনে ত্রুটি না হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়না।
আর ট্রান্সফরমার স্থাপনে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা অভিযোগ করে তিনি আরোও বলেন, গ্রাহকদের অনুরোধ করবো নতুন মিটার স্থাপনে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করতে। কোন দালালের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অযথা বিদ্যুৎ বিভাগকে দোষারোপ করবেন না।