দীঘিনালায় বৈসাবি’র তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ীদের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসাবি উপলক্ষে মাইনী নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। উপজেলার মাইনী নদী, বিভিন্ন ছড়া ও খালে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে তিন দিনের মুল আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসবের সুচনা হয়।

ত্রিপুরারা বৈসুক,মারমারা সাংগ্রাই আর চাকমারা বিজু নামে এ উৎসব পালন করে । তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের অদ্যাক্ষর নিয়ে এ উৎসবের নাম বৈসাবি। এ বার মহামারী করোনার কারনে বৈসাবী উৎসবে তেমন কোন কর্মসূচী না থাকলেও পাহাড়ীরা সামাজিক এ উৎসবটিকে পারিবারিক উৎসব হিসেবে পালন করছে । নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব পালন করে ।

NewsDetails_03

​সমতল থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে পাহাড়ে বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়। মুলত: চৈত্রের শেষ দু’দিন আর বৈশাখের প্রথমদিন নিয়ে পাহাড়ীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালন করে আসছে সে অনাদিকাল থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতায় আনন্দ-উল্লাস আর উৎসব মুখর পরিবেশে।

আজ সোমবার ভোরে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের লোকেরা মাইনী নদীতে ফুল ভাসানো ও ফুল পুজার মধ্যে দিয়ে উৎসবের মুল আনুষ্ঠানিকতার সুচনা করে। খুব ভোরে পুর্ব আকাশে সুর্য্যে রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ার আগেই চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর,তরুন- তরুনীরা নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিদায় বছরের দু:খ কষ্ট, ক্লেস ও গ্লানিকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। উপজেলা সদরের পাশে মাইনী নদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা প্রার্থনা করে। বেলার বাড়ার সাথে সাথে মাইনী নদীর তীরে মানুষের ঢল নামে। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এ সময় নদীতে হল্লা করে একে অপরকে বিজিয়ে দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। তবে এ অনুষ্টানে স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোন লক্ষনই দেখা যায়নি।

অতীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলাসহ সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসুচী পালন করলেও এবার মহামারী করোনার কারনে কোন কর্মসূচীই তারা পালন করছে না।

আরও পড়ুন