আগামী ৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা শ্রমিকলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনকে ঘিরে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদপ্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। তাছাড়া সম্মেলনকে সফল করতে গত ২৮ আগস্ট জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ জানু শিকদার স্বাক্ষরিত উপজেলা শ্রমিকলীগের বর্তমান সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলা শ্রমিক লীগের বিগত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। দীর্ঘ ৯ বছর পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা- কে হবেন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সভাপতি পদে উপজেলা শ্রমিকলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা ফয়জুর রহমান মনু, মেরুং ইউনিয়ন (উত্তর) শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আবদুর রশিদ ও দীল মোহাম্মদের নাম শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক যুবলীগ নেতা মোঃ আরিফ হোসেন, কবাখালী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি মফিজুল ইসলাম মল্লিক ও মোঃ জহিরুল ইসলাম দুলাল’র প্রার্থী হওয়ার কথা জানা গেছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ জাহাঙ্গীর, লোকমান হোসেন ও আবদুল কাদের নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে তৃনমুল পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের মধ্য থেকেও আরও অনেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন, গত ৯ বছরে দীঘিনালা উপজেলা শ্রমিকলীগ অনেকটাই নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। জাতীয় ও দলীয় কর্মসূচি সহ নানা আন্দোলন সংগ্রামে উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি৷ তাই দ্বায়িত্বশীল,দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতারা সভাপতি সম্পাদক পদে আসলে সংগঠন গতিশীল হবে।
দীঘিনালা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ কাশেম। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ জানু শিকদার উপস্থিত থাকবেন৷ এ ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দলীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।