দূর্গোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ে সম্প্রীতির মিলন মেলা

খাগড়াছড়িতে দূর্গোৎসব
দূর্গোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ী জনপদ খাগড়াছড়িতে বইছে সম্প্রীতির মিলন মেলা। দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে পাহাড়ে যেকোন উৎসব উদযাপিত হয় ভিন্ন মাত্রায়। খাগড়াছড়িতে বসবাসকারী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীদের আদি ধর্ম সনাতন কিংবা হিন্দু ধর্ম। বাঙালী হিন্দুদের পাশাপাশি ত্রিপুরা অধ্যূষিত বিভিন্ন এলাকার মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গা পূজার আমেজ।
স্বপ্না চৌধুরী জানান, মা দূর্গাকে প্রণাম করে মেলা দেখতে এসেছি। আগের চেয়ে মেলার পরিধি যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে সার্বজনীন লোকজনের অংশগ্রহণ, যা দেখে সত্যিই যে কারো মন ভাল হয়ে যায়।
দূর্গোৎসবকে ঘিরে দল বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে তরুণ তরুণীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি প্রতিমা দর্শনে মন্ডপে মন্ডপে ভিড় করছেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। দূর্গোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ের বর্ণিল সম্প্রীতির বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। কিছু কিছু মন্ডপের আশপাশে বসেছে গ্রামীণ মেলা। মেলায় স্থানীয় ও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ার বাসিন্দা শংকর জয় ত্রিপুরা জানান, পূজোর বন্ধ উপভোগ করতে বাড়ি এসেছি, পাহাড়ী বাঙালী সব বন্ধুরা মিলে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরছি। এই এক অন্য রকম ভাল লাগা।
ঢাকার পর্যটক মিলন মাহমুদ জানান, দূর্গা পূজার টানা বন্ধে সাজেক ঘুরে খাগড়াছড়ি ফিরে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ও মেলা ঘুরে দেখছি। পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বৈচিত্র ঐতিহ্য ও মিলন মেলা দেখে আমার পরিবার খুব মুগ্ধ। ঢাকার যান্ত্রিক জীবনে এমন গ্রামীণ মেলা দেখার সুযোগ খুব কম মানুষের থাকে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, প্রতিবছরের ন্যায় আনন্দঘন ও নিরাপদ পরিবেশে ৫৩টি মন্ডপে দূর্গা পূজা পালন করা হচ্ছে। জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান জানান, দূর্গোৎসব ও জেলায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ ও আনসার মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া সাব কন্ট্রোল রুম ও টহল টিমের মাধ্যমে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করছে জেলা পুলিশ।

আরও পড়ুন