দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, দুর্ভিক্ষ ছিল। আজকে দেশে দুর্ভিক্ষ নেই, দেশে কোন মঙ্গা নেই । দেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ। এই সরকার ১৩ বছরে ইলকট্রিনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া একটি সংবাদও দেখাতে পারবে না মঙ্গা পিরীত উত্তরবঙ্গে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। এই মহামারির সময়ও খাদ্য নিয়ে কোন সংকট নেই, হাহাকার নেই।
রবিবার (২০ জুন) সকালে বান্দরবন জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৮ নির্বাচনি ইশতেহারে দুটি লক্ষ্য ছিল। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, অঙ্গিকার করেছি। একটি হলো নিরাপদ খাদ্য আর পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্য দিব। আর একটি লক্ষ্য হলো দেশের কৃষিকে আধুনিকিকরন, যান্ত্রিকীকরণ এবং বাণিজ্যিকরণ করব। আমরা রপ্তানি আয় বাড়াতে চাই ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, বান্দরবনের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবনের উপপরিচালক একেএম নাজমুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরো জানান, কাজুবাদাম উচ্চমুল্যের ফসল। এর আন্তর্জাতিক চাহিদা অনেক বেশি। তিন পার্বত্য জেলায় কাজুবাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমরা বিদেশ থেকে কম দামে কাজুবাদাম এবং কপি আনব । এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করব। এগুলো আমারা উৎপাদন করব । উৎপাদন বাড়লে আমদানি কমাব।
এছাড়াও দেশে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাতের সমস্যা দূর করা ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির উপর শুল্কহার প্রায় ৯০% থেকে নামিয়ে মাত্র ৫% নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী
।
এদিকে, প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য তিন জেলায় প্রায় ৫ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম আবাদ করতে পারলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি, পাহাড়ি জমিতে কফি আবাদ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। তিনি জানান, ১ লাখ হেক্টর জমিতে কফি চাষ করতে পারলে ২ লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২১১ কোটি টাকার কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটি ২০২১-২৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। দেশের ২৮টি জেলায় ৮৮টি উপজেলায় কাজ করবে। এর মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাতের চারা উদ্ভাবন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।