দেড় বছর ধরে লামায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই

ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৪টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৪ হাজার ৯৮৩জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নেই দীর্ঘ দেড় বছর আর একাডেমিক সুপার ভাইজার নেই ২ বছর ধরে। তাছাড়া সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কখনো দেয়া হয়নি কাউকে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষকরা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ব্যাঘাত ঘটছে প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাজসহ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর দাপ্তরিক কাজে। পাশাপাশি পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রমও। অতিদ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণের জোর দাবী জানান শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারীরা।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে ১১টি, কলেজ রয়েছে ৪টি, জুনিয়র স্কুল রয়েছে ১৩টি, মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ১২টি ও মাদ্রাসা রয়েছে ৪টি। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হঠাৎ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম বদলি হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ চলে যান। অন্য কোনো মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদায়ন না হওয়ায় তখন থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। এ অফিসে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপার ভাইজার পদ ছাড়াও গার্ড পদ শূন্য রয়েছে। রয়েছে অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক ও গার্ড। এদের দিয়েই কোন মতে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম।

এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকার কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা। একজন শিক্ষা কর্মকর্তার অভাবে শিক্ষকরা মতামতও ভাগাভাগি করতে পারছেন না কারও সঙ্গে। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজতে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে কেরানির কাছে। কিন্তু তিনিই বা কতটুকু সমাধান দেবেন? সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়।

NewsDetails_03

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, উপজেলার প্রায় সব বিদ্যালয় ইউনিক আইডির আওতায় চলে আসছে। কিন্তু আমরা এখানো কোনো সিদ্ধান্ত পাচ্ছি না। শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কেরানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো সুরাহা দিতে পারছেন না। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে বান্দরবান শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। এতে শ্রম, সময় ও অর্থ অপচয় হয়।

মাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৬টি পদের মধ্যে ৩টি পদ শূন্য থাকার বিষয়ে লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কেরানি শীপক বড়ুয়া বলেন, ‘এ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আমি, অফিস সহায়ক ও গার্ড ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা নেই। কাজকর্ম নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম। অতিদ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণ করা দরকার।’

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুরিৎ কুমার চাকমা জানায়, ‘লামা উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার শূন্য পদগুলোর চাহিদাপত্র-সংবলিত চিঠি ইতোমধ্যে ডিজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগির একটা ব্যবস্থা হবে।

আরও পড়ুন