ধর্মানুভূতিতে আঘাত : বান্দরবানের নিবারণ বড়ুয়াকে চবি থেকে বরখাস্ত

NewsDetails_01

নিবারণ বড়ুয়া
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাগারে নেওয়ার পর বান্দরবানের লামা উপজেলার বাসিন্দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিবারণ বড়ুয়া ওরফে নিবু নিবারণ’কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে ‘১১ জুন থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ সাময়িক বরখাস্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আদেশে চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫(এ) ধারায় নিবারণের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, যেহেতু তার (নিবারণ) বিরুদ্ধ মামলা দায়ের হয়েছে এবং সে জেলে আছে, নিয়ম অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্তকালীন অবস্থায় সে নিয়মিত জীবিকা ভাতা পাবে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে করা মামলায় গত ১০ জুন নিবারণ বড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। চবির সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ মে ফেসবুকে ‘অবশেষে জায়নামাজ কাত হয়ে পড়ে গেল’ লিখে নিবারণ বড়ুয়া একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসটি বাদী মশিউর রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মশিউর রহমান লেন, জায়নামাজ ইসলাম ধর্মের পবিত্র জিনিস ও এটির ওপর নামাজ আদায় করা হয়। ফলে নিবারণ বড়ুয়ার ওই স্ট্যাটাস ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বলে একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনে করি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি মামলা করেছি। অন্যদিকে, আইন অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিবারণ বড়ুয়া ওরফে নিবু নিবারণ বান্দরবানের লামা উপজেলার রাজবাড়ী গ্রামের মৃত সত্যবোধি বড়ুয়ার সন্তান। সে চবি’তে যোগ দেবার আগে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন