বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এসময় নেজাম উদ্দীন নামে একজন নিহত হয়।
আজ সোমবার (৩ জুন) ভোর ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভালুখাইয়া বিওপির আওতাধীন গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর রাজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। এ সময় তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,চোরাকারবারীরা এ পথ দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে খবর পেয়ে অভিযানে নামে। পরে উদ্ধার হয় সিগারেট ও ইয়াবা।
৩ জুন সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে ১১বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর নিজাম ডাকাত চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি ছুঁড়ে। এসময় ২০ হাজার পিচ নিষিদ্ধ ইয়াবাসহ ৯৮ কাটুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় একজন আহতের কথা উল্লেখ করলেও নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও সিগারেট আটক অভিযানে নেমে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার পিচ ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি। মাদক এবং সিগারেট আটকের খবর পেয়ে ১৫০-২০০ জন চোরাকারবারি নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এসময় প্রায় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি করতে করতে অগ্রসর হয়। আত্মরক্ষার্থে মেজর রাফি-উস-হাসানের নেতৃত্বে হাবিলদার মো. হুমায়ন কবির এসএমজি দ্বারা পাল্টা ফায়ার করে। এসময় ডাকাত এবং দুষ্কৃতকারীরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিজিবির ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন চোরাকারবারি নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
নিহত নেজাম উদ্দীন এর বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে। বিষয়টি খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত নেজাম উদ্দীনের পিতা বশির আহমদ বলেন, আমার ছেলে পরশুদিন বেড়াতে যায় নাইক্ষ্যংছড়ি। গতকাল রাতেও কথা হয়েছে তার সঙ্গে। আজকে সকালে চলে আসবে বলেছে। পরে শুনি বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।
বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা ও গর্জনিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিজিবি জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং বিজিবির পক্ষ থেকে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।