বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নাশকতার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। একই সাথে ৩ জনকে আটক দেখানো হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও চাকঢালা বাজার পাড়া এলাকার মৃত আ. জব্বারের ছেলে সিরাজুল হক (৬০), যুব লীগের সা:সম্পাদক ও কম্বনিয়া পাড়া এলাকার মো.
কাশেম আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৩), ইউনিয়ন আ.লীগের সা.সম্পাদক ও চাকঢালা ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত মৌলভী জাফর হোসেনের ছেলে মো.ফয়েজ উল্লাহ।
এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য কেনে ওয়ান চাক, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সম্পকদক আবু তাহের বাহাদুরসহ ৬৫ জন ও অজ্ঞাত নামা রয়েছে আরও ২০থেকে ৩০ জন আসামী করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) দিনগত রাত ১ টা ১০ মিনিটে উপজেলার ১নং নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির, ২নম্বর ওয়ার্ড বিছামারা ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সামনে রাস্তার উপর কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি দেশের সম্পদ নষ্ট, রাস্তা ঘাটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ধ্বংসসহ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার এবং অন্তর্ঘাতী কার্য সম্পাদন করণের জন্য মিলিত হইয়া রাস্তার উপর ককটেল, পটকা বিস্ফোরন এবং টায়ারে আগুন লাগাইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অবস্থান করিতেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।
এসময় নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেন এবং পলাতক আরও ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের নামে মামলা দায়ের করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসরুরুল হক জানান, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।