নাইক্ষ্যংছড়িতে আ.লীগ নেতা খুন: “আল্লাহ’র হুকুমে মারা গেছে আমার ভাই” ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস

NewsDetails_01

নাইক্ষ্যংছড়ি আ.লীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহ আলম এর ভাই সাজ্জাদ উল্লাহ মুকুল এর ফেসবুক স্ট্যাটাস ও নিহত শাহ আলম
“বস আপনাদের কাছে একটি কথা ক্লিয়ার করতে চায়, সেটা হলো আমার ভাই মারা গেছে আল্লাহর হুকুমে” ভাই হত্যাকান্ডের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার মেজ ভাবি মা বাবার পুরো সম্পত্তি ভাবির নামে লিখে নিতে চাচ্ছে। যদি লিখে দিতে না পারি তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে, লিখে দিলে মামলা করবেনা”। ফেসবুক স্ট্যাটাসে কথাগুলো প্রকাশ করলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার মোঃ শাহ আলম এর আপন ছোট ভাই সাজ্জাদ উল্লাহ মুকুল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শাহ আলম (৪০) গত ৮ ডিসেম্বর পারিবারিক জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন ছোট ভাই মোঃ আরিফ এর হাতে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে রোববার চিকিৎসারত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,বসতবাড়ির জমিজমা নিয়ে গত মাসে ভাই এর নামে বান্দরবান আদালতে মামলা দায়ের করায় দিন দুপুরে নিজবসত বাড়ির প্রাঙ্গনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহ আলম ও তার স্ত্রী সন্তানদের মারধর করে ছোট ভাই মোঃ আরিফ। এসময় সন্তানদের বাচাঁতে গিয়ে মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর রোববার সকালে এই আওয়ামীলীগ নেতাকে মৃত ঘোষনা করে।
আরো জানা গেছে,নিহতের ভাই আরিফ ও পিতা মোজাফ্ফরসহ ঘটনা ধামা চাপা দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে শাহ আলমকে দাফন করে নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্চপিয়া, ফাক্রিকাটা নামক কবর স্থানে। নিহতের স্ত্রীর পরিবার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবী করেছে।
এদিকে নিহতের ছোট ভাই সাজ্জাদ উল্লাহ মুকুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একটি নির্মম হত্যাকান্ডকে আল্লাহ’র হুকুমে ভাই মারা গেছে বলে উল্ল্যেখ করায় স্থানীয় যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকে এই হত্যাকান্ডে সাজ্জাদ উল্লাহ মুকুল ও অপর ভাই মোঃ আরিফকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছে। এই ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশ কর্তারা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল কবির বলেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে,পারিবারিক জমিজমা নিয়ে এই হত্যাকান্ড, এই ঘটনায় শাহ আলমের বাবা-মাও জড়িত আছে।

আরও পড়ুন