বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া’র গ্রুপের (জঙ্গি) কাছে অস্ত্র সরবরাহকারীর ৩ সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা হতে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া’র (জঙ্গি) গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহকারীদের ৩ সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি আনুমানিক রাত ২টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার একটি টিম কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোমাংখিল এলাকা থেকে নাদেরুজ্জামানের ছেলে কবীর আহমদ (৪৫) কে আটক করা হয়।
আটককৃত কবীর আহমদের তথ্যমতে গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৪টার দিকে সিটিটিসি ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইমরানের নের্তৃত্বে একটি টিম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ছাগলখ্যাইয়ার ৮নং ওয়ার্ডস্থ আমিনুল ইসলামের রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

এসময় আরও দুই জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন, মোঃ আলম প্রকাশ আলইম্যা ডাকাত ও নুরুল আবছার। এরা উভয়ে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এসময় ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্ধুক, ১০ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি, ৪ লিটার এসিড, ২৫০ গ্রাম গান পাউডার, ৩ লিটার অকটেন, ২ কারর্টুন ম্যাচ বক্স, ২ কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ১ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ১টি কেচি কাটার করাত, ১টি হ্যান্ড শ, ১টি কার ব্যাটারি, ১৩টি শার্ট, ২০ পিস মানকি টুপি ১২ পিস সুপার গ্লু, ১২, জালের কাঠি ১ প্যাকেট।
এলাকাবাসীরা উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের সরমঞ্জামের খবর পাওয়ার পর আটককৃত ব্যাক্তিরা জঙ্গি গ্রুপের মদদদাতা হিসেবে সন্দেহ করছে।
সিটিটিসি প্রধান জানান, এই বিষয়ে সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।