নাইক্ষ্যংছড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের চাল বিতরণ

NewsDetails_01

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়িতে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়া ১৪জন নারী-পুরুষের পরিবারকে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়ারিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ২০ কেজি করে চাল তুলে দেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য কেনু ওয়ান চাক্।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: আবু জাফর মো,ছলিম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মং হ্লা ওয়াই মার্মা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আলী হোসেন।

স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আবু জাফর মো, ছলিম জানান, ১০ জুলাই রাতে ডায়রিয়া আক্রান্তের খবর পেয়ে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম দৌছড়ি ইউনিয়নে ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায়। সেখান থেকে পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ডায়রিয়া আক্রান্তের আশঙ্কাজনক ১৪ জনকে উপজেলা সদর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

NewsDetails_03

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে রুইঅং ম্রো(১০), চংওয়াই (৫০), মংহ্লা ম্রো (৫), রুইয়াং (৯), কাইপু (৪৭), রংরাউ (৪৮), চেওয়াই (৪৬), চংলিউ (৩০), লিপ্রাইং (৯), রেংজু (১১), মিনাউ (৭), তুমপ্রেই ম্রো (৩০) ও চিংনাউ (২৭) চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ির কুরিক্ষ্যং এলাকায় ম্রোপাড়ায় ডায়রিয়া প্রকৌপে কাইংপ্রু ম্রো (৪৭) নামে গত বৃহস্পতিবার এক নারীর মৃত্যুও হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।

জেলা পরিষদের সদস্য কেনু ওয়ান চাক্ জানান, দৌছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম আমঝিরি এলাকায় এক সপ্তাহে ওই গ্রামের প্রতিটি ঘরে বমি, পেট ব্যাথাসহ ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশঙ্কাজনক ১৪জনকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায়। সেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা পরিষদ উদ্যোগে প্রাথমিক ভাবে করোনা ক্রান্তিকালে রোগীর প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলের দৌছড়ি ইউনিয়নের আমঝিরি এলাকায় ডায়রিয়া প্রকোপ বেড়ে যাওয়া এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন ডাক্তারসহ ৫ সদস্য মেডিকেল টিম ওই গ্রামে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন