বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কগুলোর দু’পাশে মাটি সরে ও পাহাড়ের মাটি পড়ে যোগাযোগ ব্যাঘাত ঘটছে। বর্ষন অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে পাহাড়, এমন আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে গত রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী মাইকিং শুরু হয়েছে। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে এই মাইকিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরো জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও দৌছড়ি ইউনিয়নে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরানো বেশিরভাগ সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। ভারী বর্ষনের ফলে নাইক্ষ্যংছড়ি খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকলে উপজেলার ইউনিয়ন গুলোতে নিম্ম এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের অরিবিন্দু মেম্বারের পুত্র সুমন বড়ুয়া জানান,কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়ি-সোনাইছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দু’পাশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, পাহাড়ের মাটি এসে পড়েছে রাস্তার উপর।
উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে উপজেলা সদরসহ পাঁচ ইউনিয়নে মাইকিং ও জনপ্রতিনিধির কাছে সতর্কবাণী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলছে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সদর,সোনাইছড়ি,দৌছড়ি,বাইশারী ও ঘুমধুম এই পাঁচটি ইউনিয়নের উপজেলায় সরকারী কলেজ,মাদরাসা ও বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল, তবে এখনো কোথাও কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।