নাইক্ষ্যংছড়িতে মুজিব বর্ষে দিনে রাতে জাতীয় পতাকা উড়ান প্রধান শিক্ষিকা !

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুজিব বর্ষে অর্ধনির্মিত ভাবে রাতভর উড়েছে জাতীয় পতাকা ! এই পতাকা উড়তে দেখে স্থানীয়রা পরে বিষয়টি সাংবাদিকদেরকে জানান।

গত ১৭ মার্চ সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের গয়ালমারা চাকঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তবে সূর্যাস্তের আগে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার আইন থাকলেও তা মানা হয়নি। রাত সাড়ে ১০টায় পতাকা অর্ধনির্মিত উড়তে দেখে এলাকার মানুষ।

ওই এলাকার মোঃ আইয়াজ চাকঢালা নামক এক যুবকের নিজস্ব ফেসবুক (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) আইডিতে ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন,”পুরো জাতিকে অবমাননা করা হচ্ছে, চাকঢালা গয়াল মারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা রাতভর টাঙ্গানো রয়েছে। তাং-১৭/৩/২০২০ইং ছবি তোলার সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিট।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে জাতীয় পতাকা নিয়মিত উঠা-নামা করা হতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়ম থাকলেও শতবর্ষে সরকারি ভাবে সূর্যোদয়ে পতাকা উত্তোলন এবং সূর্যাস্তে পতাকা নামিয়ে ফেলার নির্দেশ থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব অবহেলার কারনে রাতভর জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত ভাবে থেকে যায়। বিদ্যালয়ে রাতভর অর্ধনির্মিত ভাবে জাতীয় পতাকা থেকে যাওয়া পতাকার অবমাননা ও দেশদ্রোহিতার সামিল।

NewsDetails_03

স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো.আয়াজ জানান, শিক্ষার প্রথম ধাপ হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীদের জাতীয় দিবসের মৌলিক কিছু শিখার আশা করছে অভিবাবকেরা। যেখানে ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় দিবসের মৌলিক শিক্ষা পাওয়া তো দূরের কথা, শিক্ষকেরাও জানেনা কোন দিবসে কি ভাবে পতাকার সম্মান করতে হয়।

স্থানীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক নিলি ম্যাডাম সদর উপজেলায় থাকেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোন সদস্যদেরকে পতাকাটা সূর্যস্তের আগে নামিয়ে ফেলার কথা বলে যায়নি। সে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের সাথেও সমন্বয় নেই।

প্রধান শিক্ষক নিলি দাশ জানান, আমি রাজাকার নয়, আমি দিবসের দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্কুলে ছিলাস। আপনারা আমার দূর্বলতা পেয়ে ফাঁসাতে চাচ্ছেন। পতাকা রাতভর থেকে যাওয়া বিষয়টি সত্য নয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরত্ন চাকমা জানান, প্রতিটি জাতীয় দিবস নিয়ে আমাদের মাসিক শিক্ষক সমন্বয় মিটিং এ আলোচনা করা হয়। এই প্রধান শিক্ষক তো একেবার নতুন নয়। উনি শিক্ষিত, অতএব শিক্ষকের ভূলত্রুটি হওয়ার কারন নেই। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন