বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আম ধান ক্ষেতে অনিষ্টকারী পোকা মাকড় দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার এবং আলোক ফাঁদে উপকার পাচ্ছেন চাষীরা। রোপা আমন ধান ক্ষেতে কীট পতঙ্গের আক্রমন এবং ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই নাশকে চাষীরা কীট নাশকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিলেন। এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি জমিতে অনিষ্টকারী কীট পতঙ্গ দমনে কীট নাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী কীট পতঙ্গ ও বিনষ্ট হয়ে ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে বসেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আর্দশ গ্রামে কৃষক মোঃ আব্দুল মজিদের রোপা আমন ক্ষেতের পার্শ্বে স্থাপন করা হয়েছে আলোক ফাঁদ । এ আলোক ফাঁদ স্থাপনের কথা শুনে তাৎক্ষনিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম সরজমিনে পরিদর্শন করেন বলে এলাকার কৃষকদের সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, এ আলোক ফাঁদ পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজে ক্ষতিকর পোকা সনাক্ত করে পোকা দমনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করা যাবে এবং আগের চেয়ে ফলনও ভাল হবে।
উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মুহিবুল ইসলাম জানান, এমন সময়ে উপজেলা কৃষি দপ্তর প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের রোগ বালাই দমন এবং অনিষ্টকারী পোকার আক্রমন ঠেকাতে যান্ত্রিক দমন প্রক্রিয়ায় পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার এবং আলোক ফাঁদ পদ্ধতি আমন ক্ষেতে পোকা মাকড় দমনে আশানুরুপ ফল মিলছে। প্রতিটি ধান ক্ষেতে গাছের ডাল পুতেঁ দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করার পদ্ধতি হচ্ছে পার্সিং পদ্ধতি যা চাষীরা ব্যবহার করে আসছেন। আলোক ফাঁদ হচ্ছে রাতের আধারে ক্ষেতের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে ক্ষতিকর পোকামাকড় সনাক্ত করা হয়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকতা মো: মনিরুজ্জামান জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া গেছে, আলোক ফাঁদ প্রক্রিয়ায় একটি ক্ষেত ও এর আশেপাশের এলাকায় পোকা মাকড়ের পরিস্থিতি এবং উপস্থিতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫ ইউনিয়নে ২২টি ব্লক রয়েছে। তাতে প্রতিটি ব্লকে ৫ টি করে ২২টি ব্লকে ১১০ টি আলোক ফাঁদ কার্যক্রম চালানোর প্রক্রিয় রয়েছে। চলতি আম চাষ মৌসুমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি দপ্তর সুত্রে জানা যায়।