নাইক্ষ্যংছড়ির ইউপি নির্বাচন : পরিবর্তন হতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যানিং ও আজিজ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান,দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিত, নৈতিক স্খলন এর কারনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যানিং মার্মা ও ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রার্থী একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ দলীয় প্রার্থীর তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় ও মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় যাচায়-বাছাই পূর্বক মনোনয়ন পত্রে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ড, আব্দুস সোবাহান গোলাপ এমপির স্বাক্ষরিত পত্রে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের তসলিম ইকবাল চৌধুরী, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের এ্যানিং মার্মা ও ঘুমধুম ইউনিয়নের এ,কে,এম জাহাঙ্গীর আজিজ এর নাম ঘোষনা করা হয়। কিন্তু নাম ঘোষনার পরপর বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার কারনে দলীয় ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তাদের বিষয়ে পূর্ন বিবেচনা করছে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ।
আরো জানা গেছে,কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ ঘোষিত তিন প্রার্থীর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের প্রার্থী তসলিম ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকার কারনে তার প্রার্থীতা ঠিক রেখে এই দুই ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীর স্থানে নতুন ঘোষনা আসতে পারে। সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বাহান মার্মা এবং ঘুমধুম ইউনিয়নে খালেদ সরওয়ার হারেচ এর নামের ঘোষনা আসতে পারে।

কেন্দ্রিয় তথ্য অনুসারে জানা যায়, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী এ্যানি মারমা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও বিগত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান, ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাচনে নিস্ক্রিয়তা এবং সর্বপরি জেলা পরিষদের অধীনেস্থ ইউএনডিপি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচীতে দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর নৈতিক স্খলন কারণে চাকুরি থেকে বহিস্কার করা হয়।
অন্যদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নে কেন্দ্র কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ’ কে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে পাওয়া না যাওয়ার প্রতিবেদন, কেন্দ্রের হাতে যাওয়ার কারনে তাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হিসাবের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে।
দলটির সূত্র আরো জানায়,আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা মাঠ পযায়ে নেতাকর্মী এবং জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগে নিকট প্রতিবেদন জমা দেন। এবং এর প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ভিত্তিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনীত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। এই তালিকাটি ফের মূল্যায়ন করে নতুন ঘোষনা আসতে পারে, আসতে পারে নতুন দুই প্রার্থীর নাম।