নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশের অভিযানে প্রায় ২০ লক্ষ টাকাসহ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক

NewsDetails_01

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে কথিত অপহরণের শিকার নাটকের পর পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শাখার একটি প্রাইভেট ব্যাংক এর ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেন। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৫ জুলাই সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

রবিবার (৪জুলাই) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হ্নিলা ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার স্থানীয় বালুখালী এলাকার ইকবাল নামের এক ব্যাক্তি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কুতুপালং এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেনের কাছে ২২ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। উক্ত হামিদ সেই টাকা না দেওয়ার জন্য নানা কল্পকাহিনীসহ গড়িমসি শুরু করেছেন।

আর এদিকে গত ৩০ জুন বালুখালী এলাকা থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক হামিদ হোসেনকে অপহরণ করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে ২ জুলাই রাতে সন্ত্রাসীরা তাকে মুক্তি দেয় বলেও প্রচার করে পরিবার।

NewsDetails_03

তবে পুলিশের ধারনা মতে, স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের উক্ত মোটা অংকের টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার কৌশলে আত্মসাতের ফন্দি এঁটেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছে।

এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে ইকবাল নামে একজন হামিদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ তদন্তে নামার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিল হামিদ। এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আল ইয়াকিন তাকে অপহরণ করেছে বলে দাবিও করেন তার পরিবার।

তিনি আরও বলেন, হামিদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ী থেকে ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওদিকে উক্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের নানা সন্দেহজনক ব্যবসার আড়াঁলে রোহিঙ্গা সম্পৃক্ততারও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। এই বিষয়ে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করেছে পুলিশ।

আটককৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে সোমবার সকালে বান্দরবান আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন সকালে নিজ বাড়ী হোয়াইক্যংয়ের কাঞ্জরপাড়া থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কুতুপালং শাখায় যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় বলে থানায় অভিযোগ করে তার পরিবার। বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ হারাকা আল ইয়াকিনের সদস্যরা তুলে নেয় বলেও দাবী করেছিল হামিদের পরিবার।

আরও পড়ুন