নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের সরে যেতে মায়ানমারের সেনাবাহিনী মাইকিং

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে নতুন বাঙ্কার তৈরী করেছে মিয়ানমার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে সরে যেতে আবারো মাইকিং শুরু করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। তুমব্রু খালের পাহাড়ি ঢল থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নো ম্যান্স ল্যান্ডে নতুন করে মাচান ঘর তৈরীর শুরু করার পর মায়ানমারের সেনাবাহিনী কাটাতারের বেড়ার কাছে মাইকিং করছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে সীমান্তের কাটা তারের বেড়া ঘেষে সেনা সদস্যদের পাহাড়ার মধ্যে কয়েক দফা মাইকিং করা হয়। মাইকিং এ অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে সরে গিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে সীমান্তে সেনা টহলও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে সেনা টহল ও মাইকিং নিয়ে জিরো লাইনে অবস্থারত রোহিঙ্গারা আতংকের মধ্যে রয়েছে। প্রায় দু মাস বন্ধ থাকার পর মায়ানমার আবারো নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করেছে।
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছে।
এলাকাটি বর্ষার সময়ে তুমব্রæ খালের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানে গত এক সপ্তাহ থেকে নতুন করে মাচান ঘর তৈরীর কাজ শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। এসব ঘর তৈরীতে সহায়তা করছে ঢাকার কিছু সেচ্ছাসেবি সংগঠন ও বিজিবি। তবে নতুন করে ঘর তৈরীর পরই মায়ানমার রোহিঙ্গাদের সরে যেতে মাইকিং করা শুরু করলো। এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে টহল ব্যবস্থা ও জোরদার করা হয়।
গত আগষ্টে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত ব্যাপক সহিংসতায় ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম তুমব্রু সীমান্তে। অন্যান্য এলাকার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে সরিয়ে নেয়া হলেও তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসকারী ৫ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। নো ম্যান্স ল্যান্ড স্পর্শকারত এলাকা হওয়ায় বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

আরও পড়ুন