নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে করোনা ভাইরাস রোধে বিজিবির সতর্কতা

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে করোনা ভাইরাস রোধে ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সতর্কাবস্থায় টহল জোরদার রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৩১ মাচ মঙ্গবার সন্ধ্যায় সীমান্তে স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে কেউ যাতে অবৈধ পথে করোনা ভাইরাস বহনকারী যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বাড়ানো হয়েছে চৌকি আর জোরদার করেছে বিজিবির টহল। তার পাশাপাশি বিজিবি জোয়ানদের সচেতনামূলক নির্দেশনা গুলো আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চেষ্টা করছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় ডাল,চাল,তেল,পিয়াঁজ ইত্যাদি বিজিবি জোয়ানেরা দিয়ে গেছেন।

বিজিবি সুত্র জানায়,দেশে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে বিজিবিকে
সীমান্তবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। রাতে সীমান্ত এলাকায় লোকজনদের অকারনে চলাচলের উপর বিধি নিষেধ দেয়া হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি
১১, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অধীনে সীমান্ত বিওপি এলাকায় বিজিবি টহল
ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা দিতে বিজিবি সদস্যরা মাস্ক,
হ্যান্ড সেনিটাইজার ও হ্যান্ড গ্লাবস হাতে দিয়ে টহল দিচ্ছে।

এছাড়া সীমান্তের বিওপি গুলোর বসবাসরত মানুষগোলোকে নিত্যপ্রয়োজনী
খাদ্যদ্রব্য ও সুরক্ষিত থাকার জন্য সাবান,মাক্স,স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাব্সসহ প্রতি সন্ধ্যায় নিরাপদ থাকার বিষয় নিয়ে সচেতনামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

আর এদিকে, সীমান্তে বিজিবির চৌকি গুলোতে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও
রাখা হয়েছে। মিয়ানমারে বসবাসরত কেউ যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে
প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি -রামু সড়কের জারুলিয়াছড়ি
প্রবেশ মূখে এবং সীমান্তের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকা গুলোতেও বিজিবির
চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ১১, বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন,
করোনা সংক্রমন নিয়ে মিয়ানমার থেকে যাতে কেউ অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ
করতে না পারে সে জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কতায়
টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন