নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন আতংক

NewsDetails_01

ফাইল ছবি
মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক গত ২৪ আগষ্ট থেকে চলমান সহিংসতায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে স্থলমাইন স্থাপন করেছে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে রোহিঙ্গারা এখন স্থলমাইন আতংকে ভুগছেন। জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে না পারে সে জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকার মিয়ানমার অংশে এক সপ্তাহ ধরে স্থলমাইন বসানো হচ্ছে বলে জানান একাধিক রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা। এদিকে গত তিন দিনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বসানো মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নারী সহ দুই শিশু গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে কুতুপালং ইউ.এন.এইচ.সি.আর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঁঞ্জা লড়ছে।
তুমব্রু খালের তীরে নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিক নূর হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার তুমব্রুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে, বহু ঘরে আগুন দিয়েছে। আমরা যাতে ওই পারে ঢুকতে না পারি সেজন্য কয়েকদিন ধরে তারা সীমান্তে মাইন বসাচ্ছে। কয়েকটি মাইন খালী চোখে দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এখানে দু’দিনে চারটি মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সীমান্তের ৩৪ নং পিলারের কাছে দুপুর ১টার দিকে মিয়ানমারের উত্তর পাড়ার শাকের আহমদের ছেলে কায়সার (১০) ও নুরুল আমিনের ছেলে আলম (৭) স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। এছাড়া গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ২ টার দিকে ৩১নং পিলারের কাছে রায়বুনিয়া এলাকার সাবেকুন্নাহার (৪৫) নামে আরেক রোহিঙ্গা নারীর দুই পা উড়ে যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭১ কি.মি. সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ঘুমঘুমের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক। ঐ সব এলাকার সীমান্তে যাঁরা থাকেন তাঁদের মধ্যে মাইন আতঙ্ক একটি বড় আতঙ্ক। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারী নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৯নং পিলারের নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে ১২টি স্থলমাইন উদ্ধার করেছিল বিজিবি।

আরও পড়ুন