উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ মে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে সশস্ত্র হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হন ব্যারাকের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার। হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি।
তার সুত্র ধরে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ এবং আনসারের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তুমব্রুর একটি অরণ্য থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র্যাবের উদ্ধার করা অস্ত্র সমূহ
এর পর ঘটনাস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান স্যুটার গান এবং গুলিসহ টেকনাফের আনসার ব্যারাকে হামলায় লুট হওয়া অস্ত্রের দুই হোতা, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক খায়রুল আমিন ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতেই নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ে সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হাসান আহমেদ নামক আরো একজনকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্রের মধ্যে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া পাঁচটি অস্ত্র রয়েছে।
আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া বাকি অস্ত্র উদ্ধারে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি এলাকায় আরও দুইদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলবে। এ জন্য র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ি অঞ্চলের গভীর অরণ্যে সম্ভাব্য দুটি পাহাড় ঘিরে রেখেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ, সাংবাদিক ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।