সভাপতির ভাষণে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট চুরি করে (বিএনপি) প্রধানমন্ত্রীর আসন নিয়ে গেলো, পরে জনগণের আন্দোলনের চাপে ভোট চুরির অপরাধে পদত্যাগেও বাধ্য হলো। তাদের মুখে নির্বাচনের শুদ্ধতা আসে কীভাবে, তাদের আয়নায় চেহারা দেখা উচিৎ। নির্বাচনে হেরে গেলে নির্বাচন কমিশন খারাপ হয়, আর জিতে গেলে ভালো।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমরা যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। তারা (বিএনপি) যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছে, সরকার পরিচালনা করেছে, গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে। তাদের জনগণ কেন ভোট দেবে?’

বিএনপি গণতন্ত্রের পথে আসার চেষ্টা করছে, করুক মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ভালো কথা, রাষ্ট্রপতি আপনাদের ডেকেছেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস, আস্থা আছে। তাদের ওপর আমরা আস্থা হারাই না। জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, বিচার অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের যে মর্যাদা সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ ও আমাদের জোটকেই জনগণ আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করবে।’
আমরা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তুলছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের গতিধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তা যেন অব্যাহত থাকে। আর তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে একাত্তরের মতো গণহত্যা চালাবে, সেটা জনগণ বোঝে।’ খবর-বাংলাট্রিবিউন এর।