নাইক্ষ্যংছড়ির শাপমারা ঝিড়ি সীমান্তে আর্তনাদ বাড়ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের। শত কষ্টে বিনিময়ে বাংলাদেশ এসে আশ্রয় পেয়েছে তারা। তাদের ত্রাণের বা খাবারের কোন অসুবিধা না থাকলে ও আছে স্যানিটেশনের সমস্যা। ২৩০০ পরিবারের জন্য আছে ৩টি নলকূপ, নেই কোন টয়লেট ব্যবস্থা। ফলে প্রতিনিয়তি নানা প্রকার রোগের শিকার হচ্ছে শিশু,বৃদ্ধা ও অসংখ্য নর নারী।
এদিকে মিয়ানমার বুচিডং থেকে আসা হাফেজ মো. হামিদ আহম্মদ বলেন,আমরা কখনো কল্পনা ও করি নেই যে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের ভাই বোনেরা আমাদের পাশে এসে দাড়াবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের এখানে শাপমারা ঝিড়িতে আমরা প্রায় ৫৭০ পরিবারের জন্য একটি ও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। যদিও বা আমরা প্রায় ২৩০০ জন নর নারীর জন্য রয়েছে মাত্র ৩টি নলকূপ।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১ নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান তাসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি পয়েন্টে রোহিঙ্গা শরনার্থীর আশ্রয় নিয়েছে। যার মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে বড়সন খোলা ও শাপমারা ঝিড়ির জন্য ৯টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। যদি বা ফুলতলীতে কোন নলকূপ স্থাপন করা হয়নি।
অন্যদিকে স্যরিডং থেকে আসা এক রোহিঙ্গা নারী হালিমা খাতুন বলেন, আল্লাহ আমাদের অনেক টা ভালো রাখছেন,তাতে আমরা শোকরিয়া আদায় করি। কিন্তু আমাদের এখানে কোন টয়লেট না থাকাতে বিশেষ করে আমাদের মহিলাদের জন্য বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এস সরওয়ার কামাল বলেন,ইতোমধ্যে আমরা স্যানিটারি লেপটিনের জন্য একটি কোম্পানীর সাথে কথা বলেছি আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ৭০ টি স্যানিটারি লেপটিন আমাদের এখানে এসে পৌছালে আমরা নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিব।