তিনি পাহাড়বার্তা’কে বলেন,গত রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রুমার কর্মস্থালে যাবার পথে গাড়ি থেকে নেমে তিনি দিদি (মৌসুমী নন্দীকে) ফোন করেন, এরপর তার আর কোন খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর রুমা কৃষি ব্যাংক থেকে ফোন পেয়ে গৌতমের সন্তান তূর্য নন্দী ও তিনি বান্দরবানের ঘটনাস্থলে আসেন, এরপর থেকে সন্তান তূর্য ও তিনি ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে গৌতমের সন্ধানে এই পাহাড়ী এলাকায় দিন পার করছেন। যদি বাবার লাশেরও বা কোন সন্ধান পাওয়া যায়।
গৌতম নন্দী’র শ্যালক দিগন্ত নন্দী পাহাড়বার্তা’কে আরো বলেন, চট্টগ্রামের জামাল খান এলাকায় গৌতম নন্দী’র পরিবার বাস করলেও তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে তূর্য নন্দী ইউএসটিসিতে এবং মেয়ে তুষি নন্দী খাস্তগির স্কুলের নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছে। গৌতমের কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সবাই ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি পাহাড়বার্তা’কে আরো বলেন, “জীবিত আছে সেই আশা ছেড়ে দিয়েছি, আমরা এখন লাশটা চায়”।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী একটি ব্যাগ পেয়েছে উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা, ব্যাগটি গৌতমের বলে নিশ্চিত করেন পরিবার। ঘটনার পর এখনও নিখোঁজ রয়েছে সিংমেচিং, কৃষি ব্যাংক রুমা শাখার কর্মকর্তা গৌতম কুমার নন্দী ও রুমা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার রবিউল।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর জেলার দমকল বাহিনীর সদস্য, সেনা সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট এর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালালেও বৃষ্টির কারনে ঘটনাস্থলে ফের পাহাড় ধসের আশংখা থাকায় উদ্ধার অভিযানে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান দমকলকর্মীরা।
2 মন্তব্য
শেষ পর্যন্ত এমন জায়গায় পৌছলো যেখান থেকে আর কল দেয়া যাবে না
খুবই মর্মান্তিক ঘটনা,,,, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।