পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর অভিযোগ নতুন নয়,এবার এই অভিযোগে বান্দরবানে এক পুলিশ কর্তাকে সাড়ে ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দুটি মামলায় অর্থ দণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার এলাকায়।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) আবুল খায়ের বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মামলা নং-৩/১৮ এবং ২০ আগস্টের ১৩/১৮ দুটি মাদক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুটি মামলায় আসামিদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি পরবর্তীতে মামলা দুটি দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি ও সাক্ষীদের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের কর্তৃক তথ্য গোপন এবং প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায়।
আরো জানা গেছে, এ ঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ২৫০ (২) ধারায় আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ও লিখিত ব্যাখা চান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) আবুল খায়েরসহ অন্যান্য সাত পুলিশ সদস্য আদালতে হাজির হন।
আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল খায়ের এর লিখিত মতামতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাকে জিআর ৩০৭/১৮ মামলায় ১৫দিন সাজা ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং জিআর ২৮০/১৮ মামলায় চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়াও উক্ত দুটি মামলায় আরও ৬ জন পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করেছেন আদালত।
বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার মো: শামীম হোসেন জানান, আসামিদের প্রকৃত তথ্য গোপন করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের। বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে এই আদেশ দেন।