আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। ভোট সামনে রেখে বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। জনগণের সামনে দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারের পাশাপাশি নিজ এলাকায় অসম্পূর্ণ নানা উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেলার ১০টি উন্নয়নমূলককাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ১০ প্রতিশ্রুতি ঃ-
১.পাহাড়ে সবার উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ।
২. পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৩. গ্রামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মিনি স্টেডিয়ামসহ ছোটখাটো মাঠ তৈরি।
৪. সবার স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. খাগড়াছড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।
৬. বেকারত্ব দূরীকরণে পার্বত্য এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ।
৭. বাল্যবিবাহ রোধে টেকসই পদক্ষেপ ও নারীর ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৮. পাহাড়ের বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ এবং পরিবেশদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯. পর্যটন শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন।
১০. পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ।
নব্বইয়ের দশক থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। শুধুমাত্র ২০০১ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া এ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই। একসময় খাগড়াছড়ি ছিলো পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে এ জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নই নয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় আমাকে সংসদে পাঠাবে।