পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্টগুলোর বাস্তবায়ন দেখে খালেদার গাত্রদাহ হচ্ছে : খাগড়াছড়িতে ওবায়দুল কাদের

NewsDetails_01

খাগড়াছড়িতে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা
পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্টগুলোর বাস্তবায়ন দেখে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাত্রদাহ হচ্ছে। খালেদা জিয়া পরশ্রীকাতর হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নির্মিতব্য বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপি জনগণকে ব্ল্যাকমেইল করছে দাবি করে মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন সরকার যেমন রুটিন কার্যক্রম করে বাংলাদেশ সরকারও তা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশনকে পরিবেশ দেয়ার আহবান জানিয়ে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে হবে জানিয়ে, নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, মৈত্রী সেতুর মধ্য দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি দু’দেশের বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পর্যটন খাতের উন্নয়ন হবে। রামগড়-সাব্রুম অংশে ফেনী নদীর উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রীজটি নির্মাণে ১শ ২৮ কোটি ৬৯ লক্ষ ভারতীয় মুদ্রায় আগামী ফেব্রুয়ারী থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। রামগড় স্থল বন্দর নির্মাণের উদ্দেশে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বারৈয়াহাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ৪ লাইনের সড়ক প্রশস্তের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে বুধবার দুপুর ১টায় রামগড় পৌর সম্মেলন কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম সহ স্থানীয় গর্ণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অংশে নির্মিতব্য সেতুর স্থান পরিদর্শনে গিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ অংশে কার্যক্রম শুরু করতে কিছু সমস্যা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারীর মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান করা হলে ২০১৯ সালের শেষদিকে একাজ সমাপ্ত হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন