পরকীয়া প্রেমিকা জেবাকে নিয়ে বান্দরবানে ভ্রমনে আসেন কন্ঠশিল্পী নোবেল

NewsDetails_01

ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল, দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন, সিনিয়র শিল্পীদের অসন্মান, সর্বশেষ বান্দরবানে ভ্রমনে এসে মাদক গ্রহনসহ একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে এই শিল্পী।

সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে প্রেমিকা জেবাসহ আরো একজনকে নিয়ে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রিতে ভ্রমন করেন তিনি। এসময় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করে নোবেল তার ফেসবুক ওয়ালে ছবি শেয়ার করলে তোলপাড় শুরু হয়, তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।

সুত্রে জানা যায়,গত ২৫ আগস্ট (বুধবার) রাতে পর্যটন জেলা শহরে এসে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারীকে নিয়ে বান্দরবান সদরের রুমা বাসষ্টেশন এলাকার গার্ডেন সিটি নামে এক আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে সংগীত শিল্পী নোবেল। পরে ২৬ আগস্ট সকালে হোটেল থেকে বের হয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে ঘুরতে থাকার পাশাপাশি উদ্ভট আচরণ করতে থাকে এলাকাবাসীর সাথে।

এদিকে একজন শিল্পী হয়ে পর্যটন জেলা বান্দরবানে এসে প্রকাশ্যে এলাকায় নেশাদ্রব্য পান করা ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার কারণে এলাকার মানুষ তার উপর রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সে আবার সন্ধ্যায় শহরের গার্ডেন সিটি হোটেলে রাত্রিযাপনের জন্য উঠলে রাত ১২টায় হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে মদপানের পাশাপাশি চিৎকার ও শোরগোল শুরু করলে তাকে শান্ত করতে হোটেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

তার আচরণে হোটেলে থাকা অন্যান্য বোর্ডাররা বিরক্ত হয়ে তাকে সামলাতে আসলে সে এক বোর্ডারকে লাঞ্চিত করে। পরে হোটেলের মালিক মো.জাফর নোবেলের এই কর্মকান্ড দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ভোরবেলা সে তার রুমে ঘুমাতে যায়।

NewsDetails_03

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলেন, যে মেয়ের সঙ্গে নোবেল বান্দরবানে গিয়েছে, সেই মেয়েটির নাম জেবা। জেবা একজন এয়ার হোস্টেস। চাকরির আড়ালে মেয়েটা বিভিন্ন স্থানে মাদক আনা-নেওয়া করে। নোবেল-জেবা দুজনেই মাদকাসক্ত।

সালসাবিল মাহমুদ আরো বলেন, আমরা বিবাহিত কিন্তু একসঙ্গে থাকি না। মাদক সেবন, নারীঘটিত কারণেই মূলত নোবেলের সঙ্গে থাকি না। একের পর এক এরকম ঘটনা হলে একজন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। মাদক বা নারীর প্রতি নোবেলের আসক্তি যে পর্যায়ে গেছে তা এখন আর কারো অজানা নয়। সবকিছু সবার সামনেই ঘটছে।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো.জাফর জানান, শিল্পী হিসেবে তাকে আমি একটি রুম দিয়েছি, রুম ভাড়া নেওয়ার সময় তার সাথে এক নারী ছিল, সে থাকে প্রথমে স্ত্রী পরিচয় দেয়, পরে সে আবার তাকে বোন হিসেবে পরিচয় দিতে থাকে।

আরো জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে নোবেল-সালসাবিলের পরিচয়। পরবর্তীতে তা রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে। আড়াই মাস সম্পর্কে থাকার পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন। এখন জেবা আর মাদককে ঘিরে ভাঙ্গনের মুখে নোবেল-সালসাবিলের সংসার।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সংগীত শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল এর বিষয়ে আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

আরও পড়ুন