স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মে সকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী রোকন মিয়া ও স্থানীয় আতাউর রহমান ওরফে স্বপনের স্ত্রী রোজি আক্তারকে নিয়ে রোজির বাসায় অসামাজিক কার্যকালাপে লিপ্ত হলে থানচি থানা পুলিশ আটক করে।
থানচি এলজিইডির রোকন মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতান থানায় করা অভিযোগে জানা যায়, মোহাম্মদ রোকন মিয়া তার স্ত্রী নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে ব্যাপক মারধর করেন এবং এতে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হন। এ সময় স্ত্রী চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে থানচি হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা শেষে গত রবিবার সকালে স্বামী রোকন মিয়ার বিরুদ্ধে থানচি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এজাহার দিলে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর সাক্তার ভূঞা রোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সে সময় পরকীয়া প্রেমিক আতাউর রহমান স্বপনের স্ত্রী রোজি আক্তারকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয় ।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় এলাকায় সূত্রে জানা যায়, রোকন মিয়া, পীং মৃত মোঃ সিরাজুল হক , গ্রাম আনুহা গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পোঃ সুরাটি উপজেলা হোসেনপুর কিশোরগঞ্জ থেকে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থানচি উপজেলা কার্যালয়ের চাকুরী সুবাদে অবস্থান করেন । ৮০ দশকে দিকে থানচি উপজেলা ছিল দুর্গম অঞ্চল সে সুবাদে সরকারি চাকুরীরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্থায়ী ভাবে অফিস করেন না । পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সমস্যা কারনে অল্প বেতনের রোকন মিয়া স্থায়ীভাবে থেকে যায় । তবে তার চাকুরী পদবী অনুযায়ী উপজেলা ইলেক্ট্রিকশিয়ান পদটি থাকলে ও কোন কাজ তার নেই। তখন থেকে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছেন, যা সরকারী চাকুরীবীধি অনুসারে দন্ডনিয় অপরাধ।
3 মন্তব্য
প্রতিবেদকের উদ্দেশ্যে বলছি আপনাকে কে বললো, পুলিশ অসামাজিক কার্য কলাপ থেকে তাদের কে গ্রেফতার করেছে। দয়া করে মানুষ কে ভূল তথ্য দিবেন না।
পাহাড় বার্তা একটি জনপ্রিয় স্থানীয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু এর লেখাগুলো/প্রতিবেদনগুলো এবং বাক্য সংকোচনে আরও যত্নবান হওয়া দরকার।
রোকন ভুঞা’র সম্পত্তির হিসাব নিকাশ তদন্ত করা হওক।