পরিবহণ ধর্মঘটের কারনে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
চকরিয়া- লামা- আলীকদম সড়ক
চালক সমিতির ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে সড়কের যাতায়াতের বাস ও জীপগাড়ি। চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সড়ক পরিবহনের শ্রমিক সমিতি। যার ফলে বান্দরবান ও কক্সবাজারের তিন উপজেলার উভয় দিকে আসা যাত্রী ও যানবাহন আটকা পড়েছে। বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলার জনসাধারণের জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। আজ শনিবার সকাল থেকে এই পরিবহন ধর্মঘটের ফলে উপজেলার সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা যায়, গত (শুক্রবার) বিকেলে ও সন্ধ্যার পরে লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরির বেলালের দোকান নামক স্থানে সিএনজি ও মাহিন্দ্রা চালকরা মিলে জীপগাড়ির এক চালকের সাথে বাকবিতন্ডায় জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই সূত্র ধরে পরিবহন চালক সমিতির পক্ষ থেকে ধর্মঘট ডাক দেওয়া হয়।
এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া থেকে আলীকদম আসা যাত্রী মোহাম্মদ আব্দুল বলেন, চকরিয়া-লামা/আলীকদমে বাস চালক ও সিএনজি শ্রমিক-মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা যাত্রীরা তাদের কারণে বার বার ভোগান্তিতে পড়ছি। যার ফলে আমাদের ভাড়া বেড়েছে তিনগুণ, সময় ব্যয় হয়েছে প্রচুর। সকাল নয়টা থেকে বের হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে আলীকদম পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, গাড়ির ফিটনেস ও চালকদের অমনোযোগী হওয়ার কারণেও প্রায় সময় সড়কে দূর্ঘটনা হচ্ছে।
চকরিয়া-লামা/আলীকদম রোড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন জানান,গত শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যায় কয়েক দফায় অন্তত ২০ জন শ্রমিককে বেদড়ক মারধর করে আহত করা হয়েছে। যার কারণে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক পরিবহন সমিতি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আহতের ঘটনাটি লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।