পাপিয়ার রংমহলে তিন পার্বত্য জেলার মেয়ে !

purabi burmese market

আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার রংমহলে কারা যেতেন সেই তথ্যের পাশাপাশি তাদের মনোরঞ্জনের জন্য কাদের নিয়ে যেতেন এই তথ্যও বেরিয়ে আসছে। টাকা আর নারীর লোভ দেখিয়ে স্বার্থ হাসিল করতেন তিনি।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিবিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী তাদের দুর্বৃত্তায়নের অনেক গোপন তথ্য জানাতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর অপরাধ জগত সম্পর্কে তায়্যিবা ডিবিকে জানিয়েছেন, অনেক সময় চাহিদামতো থাইল্যান্ড,নেপাল, ভারত, ভুটান ও রাশিয়া থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। বান্দরবান,রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলা থেকেও পাহাড়ি মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। কারণ আদিবাসী পাহাড়ি মেয়েদের প্রতি পুরুষদের একটা বাড়তি আকর্ষণ থাকে এই ধারণা থেকে। তারা একাধিকবার বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় সফরও করেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের এই ধরণের ছবি পাওয়া গেছে।

বিদেশ থেকে মেয়ে আনতে খরচের পাশাপাশি ঝামেলাও অনেক বেশি। এজন্য দেশের পার্বত্য জেলা থেকে কম খরচে মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। তারপর তাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। তবে কারও বিশেষ অর্ডার থাকলে আনা হতো বিদেশি মেয়ে। দেশি বিদেশি মিলিয়ে পাপিয়ার হাতে অন্তত ১ হাজার ৭০০ মেয়ে ছিল বলে জানা গেছে।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে,পাপিয়া এবং তার স্বামীকে কখনো আলাদাভাবে,কখনো দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

dhaka tribune ad2

নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন পাপিয়া। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এ কাজে তার বাজেট ছিল ১০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।