পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে ইউএসএইড সহায়তা অব্যাহত রাখবে : মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্ণিকাট
এ সময় ইউএসএইড এর বাংলাদেশ মিশন প্রধান জেনিনা জারুজেলস্কিসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষে ঘন্টব্যাপী অনুষ্ঠিত রুদ্ধদার বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন মানোন্নয়নে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পার্বত্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়া রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কারণে বিভিন্ন দাতাসংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, কৃষি এবং পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরিচালিত প্রকল্পগুলির কারণে এলাকার মানুষের যথেষ্ট উপকার সাধিত হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত ৬৮টি স্কুল জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হয়েছে। স¤প্রতি এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি অধীনে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী ভূমি, পুলিশ, বন পরিষদে হস্তান্তর এবং পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ জেলার প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি এ জেলার দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি এবং সামগ্রীক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা ও ত্রিদীব কান্তি দাশ, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদুল আলম চৌধুরী এবং ইউএস এ আইডি ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এছাড়া রাঙামাটির ইউএনডিপির কার্যালয় পরিদর্শনসহ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল।