রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ফোরামের সভাপতি শিশির চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ সাধারণ সম্পাদক থোয়াই অং মারমা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদার।
উষাতন তালুকদার বলেন, আদিবাসী অস্তিত্বকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়। সরকারকে মনে রাখতে হবে আদিবাসী মানুষ ধ্বংস হওয়ার জন্য জন্ম নেয়নি। পাহাড়ে যে বিষবাষ্প ছড়ানো হচ্ছে, তাতে করে আদিবাসী জনগণের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। আদিবাসীদের বিরুদ্ধে এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি বক্তব্যে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য পার্বত্য জনগনের প্রতি আহবান জানান।
উষাতন বলেন, আদিবাসী স্বীকৃতি প্রদানে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। আমাদের বোধগম্য হয় না, আদিবাসীদের প্রতি সরকারের প্রতিটি সেক্টরে এত এলার্জি কেন? তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবেই আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিতে হবে।
এদিন আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে রাঙামাটি পৌর চত্বরে পাহাড়ী নারী পুরুষরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করে এবং আদিবাসীদের বিভিন্ন দাবী সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অনুষ্টানে সমবেত হয়। সমাবেশ শেষে একটি র্যালী রাঙামাটি পৌর চত্বর থেকে শুরু করে শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।