পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড লামায় নির্মাণ করছে বৃহদাকার বাস টার্মিনাল

purabi burmese market

লামায় নির্মাণাধীন পৌর বাস টার্মিনাল
বান্দরবানের লামা উপজেলায় পুরাতনকে ভেঙ্গে নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে বৃহদাকার বাস টার্মিনাল। পৌরসভার হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এক একর চল্লিশ শতক জমির ওপর টার্মিনালটি নির্মাণ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনালটি নির্মিত হলে পৌর শহরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংসহ যানজট নিরসন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, আশির দশকে লামা উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্নে ১৫-২০শতক জমির ওপর একটি বাস স্টেশন নির্মিত হয়। প্রতিদিন শত শত যাত্রিবাহী জীপ এবং পন্য বোঝাই ট্রাক ও পিকআপ লামা থেকে আলীকদম ও বান্দরবান জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করে। কিন্তু স্টেশনটি ছোট হওয়ার কারনে বাস, জীপ এবং পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপগুলোকে যত্রতত্র পার্কিং করতে হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন আগে নির্মিত হওয়ায় কাউন্টারটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এর ফলে উপজেলা সদরে প্রায় সময় যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ লোকজনসহ রিক্সা, টমটম, ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাস, জীপ, চালক মালিক ও স্থানীয়রা একটি বাস টার্মিনাল নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিল।
অবশেষে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত বছরের ২০ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বাস টার্মিনাল নির্মানের জন্য বান্দরবানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মি. কেলু মং নির্মাণের কার্যাদেশ পান।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় ঠিকাদার বিজয় আইচ বলে, ইতিমধ্যে বাস টার্মিনালের বেশির ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন মাঠ ভরাটের কাজ চলছে। নির্ধারিত সময় চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চকরিয়া ও লামা জীপ মালিক সমিতির লামা কাউন্টারে দায়িত্বরত লাইনম্যান মো. কামাল উদ্দিন জানান, বাস টার্মিনাল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেশির ভাগ বাস ও জীপকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রি উঠা–নামা করতে হতো। এর ফলে নিত্য যানজট দেখা দিতো। টার্মিনাল নির্মিত হলে এ অবস্থা থেকে মোটামুটি রক্ষা হবে।
লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিকতায় বাস টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে। টার্মিনালটি নির্মিত হলে পৌর শহরে যত্রতত্র গাড়িং পার্কিং এবং যানজট নিরসন হবে। যানবাহন পার্কিংয়ে যে বিশৃংখলা রয়েছে তা দুর হয়ে নিয়মতান্ত্রিকতা ফিরে আসবে। এর ফলে পৌর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা পৌর বাস টার্মিনালটি নির্মিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।