রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন ও জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত সদস্য, পিপি, এপিপির অপসারন ও জেলা পরিষদে বঞ্চিত চার উপজেলা হতে সদস্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ। একই দাবিতে সংহতি প্রকাশ করেছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন ও ইসলামি আন্দোলন।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে তারা ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জুড়াছড়ি উপজেলা বাসীর পক্ষে রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তারা মিয়া, বরকল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি পুলিন বিহারী চাকমা, অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন, রাজস্থলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উথান মারমা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাকিব হাসান, ইসলামী আন্দোলন রাঙামাটি পৌর কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রউফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অর্ন্তবর্তিকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধি রাখার নিয়ম থাকলেও ২০২৪ সালের ০৭ নভেম্বর যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে সেখানে চারটি উপজেলা থেকে কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ রাঙামাটি সদর উপজেলা থেকে নয়জন সদস্য রাখা হয়েছে। যাদের রাখা হয়েছে তারা পতিত সরকারের প্রতিনিধি, দোসর, হত্যা মামলার পলাতক আসামী, পার্বত্য উপদেষ্টার কর্মচারী ও আত্বীয় রয়েছেন। আমরা এদেরকে প্রত্যাখ্যান করছি। ছাত্র জনতা আন্দোলনে আত্মাহুতি দেয়া শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হয়েছে। চার উপজেলাকে বঞ্চিত করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়মের স্বর্গভুমিতে পরিনত করতে শুধুমাত্র সদর উপজেলা থেকে নয়জনকে সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া রাঙামাটির আদালতে পিপি, এপিপি, অতিরিক্ত পিপি নিয়োগেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয় লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ায় ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানী করা হয়েছে।
মানববন্ধনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্নগঠন করে বঞ্চিত চার উপজেলা হতে প্রতিনিধি নিয়োগ করে পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্নগঠন এবং আদালতে নিয়োগকৃত পিপি,এপিপি ও অতিরিক্ত পিপি নিয়োগের দাবী জানানো হয়। তা নাহলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।
মানববন্ধনে বঞ্চিত কাউখালী, বরকল, জুড়াছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার জনসাধারন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নের্তৃবৃন্দ, ইসলামী আন্দোলনের নের্তৃবৃন্দ, সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলনের নের্তৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।