বান্দরবানের রুমা উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে সদ্য অনুমোদন পাওয়া এই বিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে মোট ২২জন। গত রোববার দুপুরের পর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এলাকার বেশির ভাগ লোকজনের নজর ছিল রুমা উচ্চ বিদ্যালয় ফলাফলের দিকে। বিদ্যালয়টি ১৯৯২সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এ বিদ্যালয় থেকে মাত্র একজন পাস করেছে, সেই ছাত্রীর নাম শৈমা প্রু মারমা। কিন্তু সেই শৈমা প্রু মারমা পার্বত্য জেলার অন্যতম নিউজ পোর্টাল পাহাড়বার্তাকে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, পাস করলেও খুব খুশি হয়নি আমি। কলেজে পড়ানোর মত আমার বাবার সে টাকা-পয়সা নেই। সামনে কলেজে কিভাবে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করব, তা নিয়ে বাড়িতে চিন্তায় আছি।
আর শৈমা প্রু মারমা’র কথায় পড়ালেখা নিয়ে তার অনিশ্চিত শিক্ষা জীবনের চিত্র পাহাড়বার্তার প্রতিবেদনে উঠে আসার পর বিষয়টি অনেকের দৃষ্টি গোচর হয়। তাদের মধ্যে একজন বান্দরবান সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের আহব্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু । তিনি আজ বুধবার দুপুরে পাহাড়বার্তার নির্বাহী সম্পাদক এস বাসু দাশকে ফোন করে তার পাশে দাড়ানোর ঘোষনা দেন।
ছাত্রলীগের জনপ্রিয় নেতা নাজমুল হোসেন বাবলু বলেন, আপনাদের পাহাড়বার্তার সংবাদটি আমি দেখেছি, আমি এই ছাত্রীর কলেজের ভর্তি ও বই কেনার অর্থ প্রদান করবো পাহাড়বার্তার মাধ্যমে ।
প্রসঙ্গত, এবার এসএসসি পরীক্ষায় রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। তার মধ্যে রুমা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২৬জন। পাস করেছে ১৬জন। রুমা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫জন, তার মধ্যে পাস করেছে ১৮জন ও রুমা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ৪৪জন, তার মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১জন।