পাহাড়বার্তায় সংবাদ প্রকাশ : নাইক্ষ্যংছড়ির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা

নাইক্ষ্যংছড়ির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক নিজ বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায়
গত ২৮ জুন পাহাড়বার্তা’য় “বান্দরবানে ছাত্রীর সাথে এ কেমন আচরন শিক্ষকের !” এস বাসু দাশ এর একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি গত রোববার সকালে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক এর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। এই নির্দেশনার পর উপজেলা শিক্ষা অফিস এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আজ সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পত্র পাঠাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক একই স্কুলের ৩য় শ্রেণীর শিশু কন্যার সাথে গত কয়েক বছর আগে আপত্তিকর ছবিগুলো ধারণ করেন এবং এখন তা প্রকাশ পায়। এই শিক্ষক শুধু এই ছাত্রী নয়, সম্প্রতিক সময়ে তিনি বিদ্যালয়টির আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর সম্পর্ক গড়ে তুলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবুল হকের বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক। ভাইয়ের প্রভাবে তিনি বিদ্যালয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড সংঘটিত করে পার পেয়ে নিত্যনতুন অপরাধ করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আপত্তিকর ছবি প্রসঙ্গে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুজিবুল হক পাহাড়বার্তাকে বলেন, ছাত্রীর সাথে এই ছবিগুলো সত্যি, আমি অস্বিকার করছিনা। তিনি আরো বলেন, আমি এর জন্য লজ্জিত, সবার কাছে ক্ষমা চায়।
একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন ঘটনা পাহাড়বার্তায় প্রকাশ করা হলে জেলা জুঁড়ে তোলপাড় শুরু হয়, অনেকে এই ঘটনার পর নিজ সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর বিষয়ে উদ্ভেগের বিষয় তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন, আবার অনেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষক তার প্রভাবশালী বড় ভাই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে সবাইকে সোচ্ছার হতে আহবান জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামাল হোসেন পাহাড়বার্তাকে বলেন, ছাত্রীর সাথে এই ছবি যখনকার ঘটনা হোক না কেন, এটা চরম অপরাধ। আমরা বিভাগীয় শাস্তির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে আজ (সোমবার) পত্র পাঠাবো, এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন