সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার জেলার থানচি সদর উপজেলার বাজারের তং মা হাং নামক হোটেলের রেস্টুরেন্ট কক্ষে রবিন বাহাদুরের পক্ষে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মার্মা ও রবিন বাহাদুরের প্রতিনিধি উৎসব ঘোষ (রাহুল)। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সংস্কার করার জন্য থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে থাংলং ম্রো পাড়ার ইউপি মেম্বার ও কারবারি এই অর্থ গ্রহন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে থাংলং ম্রো পাড়া অবস্থান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০১৫ সালে পাড়াবাসীদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরী করেন একটি স্কুল ঘর। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগীতা পাতলা ঢেউটিন দিয়ে স্কুল ঘরটি নির্মাণ করেন। পাড়াবাসীদের মাসিক চাঁদা দিয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ করেন। প্রথমে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পরে পর্যায়ক্রমে ২০১৯ সালে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত ৫৬ জন শিক্ষার্থী স্কুলটিতে অধ্যায়ন করত, তারা সবাই গরীব আদিবাসী পরিবারের সন্তান।
আরো জানা গেছে, ২০১৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর ইউনিসেফ এর সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্কুলটিতে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেন। মোট দুইজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে স্কুলটি। মাস খানেক আগে কাল বৈশাখী ঝড় ও তুফানে স্কুলের ঢেউটিন উড়ে জঙ্গলে দিয়ে পড়ে। আর তাতেই ঢেউটিনগুলো ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ায় শিক্ষার্ত্রীরা যেন খোলা আকাশের নিচেই শিক্ষা অর্জন করছে।
এই ব্যাপারে উৎসব ঘোষ (রাহুল) পাহাড়বার্তাকে বলেন, পাহাড়বার্তা’র সংবাদের পর আমরা প্রথমে টিন কিনে দিতে চেয়েছিলাম, পরে চেয়ারম্যানের পরামর্শে আমরা স্কুলটি মেরামতের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত,রবিন বাহাদুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই পর্যন্ত জেলার ৩৩ ইউনিয়নের প্রায় ২শ স্কুলের ৩৩হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন, কখনো নিজে গিয়ে কখনো বা প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে।