তিন পার্বত্য জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা)।
গত কাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে এ মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির ১ নং সাব কমিটির ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে ১১ টা পর্যন্ত।
সাব কমিটির বৈঠকে আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীপংকার তালুকদার,এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এবং মীর মোস্তাক আহমেদ রবি,এমপি।
এ সময় বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বান্দরবান স্থানীয় সরকারের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পাহাড়ের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায়, পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন, পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তবে এর আগে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত পর্যটন সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের (অতিরিক্ত সচিব)। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় । পর্যটন জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিষয়। আমরা হস্তান্তরিত বিষয়টির আইন কোট করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে পর্যটন নিয়ে কাজ করার জন্য সম্মতি দিয়েছে। এখন পাহাড়ের পর্যটন বিক্ষিপ্ত।
পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার বিষয়ে আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের আরো বলেন, মাস্টার প্ল্যানে তিন পার্বত্য জেলায় ৯৬টি পর্যটন স্পট চিহ্ণিত করা হয়েছে। আবার এটিকে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। বান্দরবান জেলাকে ৩ টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। পাহাড়ের স্থানীয় খাদ্য, বৈচিত্র, অবকাঠামো সহ নানা বিষয় নিয়ে ক্লাস্টার করা হয়েছে।
পর্যটন করতে গিয়ে পার্বত্য তিন জেলার (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে) প্রাণি ও উদ্ভিদকূলের যাতে নষ্ট না হয় সেটিও মহাপরিকল্পনায় আছে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিত পর্যটন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এ সময় পর্যটকদের সচেতন করতে এবং দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহায়তা চান প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা।