পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের সুবাতাস বহমান : সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এ চুক্তির ফলে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইছে। চুক্তি আগে এই পাহাড় কেমন ছিল, আর চুক্তির ২৫বছর পরে কেমন উন্নয়ন হয়েছে। এই পাহাড়ের উন্নয়ন ও সম্প্রীতি দৃশ্যমান। শান্তি চুক্তির ২৫বছর পূর্ণ হয়েছে। চুক্তির পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের এই পাহাড়ী অঞ্চলে কোন উন্নয়ন ছিলোনা। চুক্তির পরেই ২৫বছরে এসে এই পাহাড়ে উন্নয়নের জোয়ার দেখতে পাচ্ছেন। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের সুবাতাস বইছে পাহাড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ডিসেম্বর) সকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা.এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে অফিসার্স ক্লাবে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। পরে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ সংগীত পরিবেশনার উদ্বোধন ও জিওবির অর্থায়নে বিসিক ‘র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুব মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আজ পাহাড়ে বিরাজমান। নানান কর্মূচি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে এবারের শান্তিচুক্তির রজতজয়ন্তী। আমরা আনন্দে, উল্লাসে শান্তিচুক্তির রজতজয়ন্তী উদযাপন করবো। রজতজয়ন্তী সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য তিনি সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা সিভিল সার্জন মোঃ ছাবের, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, সদস্য নিলোৎপল খীসা, সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ও লাইব্রেরিয়ান ওয়েন চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।