আজ শুক্রবার সকালে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া প্রধান অতিথি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা বিতরণ করেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়সেন তংচঙ্গ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ এর জেনারেল সেক্রেটারী জন রৌমিং লিয়না, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ নাসির মোহাম্মদ, বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ তংচঙ্গ্যা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ এর গভামেন্টস্ রিলেশনস্ অফিসার সিলভেস্টার গোমেজ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংষ্থা গ্রীনহিলের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লাল চুয়াক লিয়ানা পাংখোয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, বিদেশী দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ এর ন্যয় সমাজ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে যে কোন দূর্যোগ মুহুর্তে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাঙ্গামাটিতে স্মরণকালের পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের কল্যাণে স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ যেভাবে এতো দূর থেকে এগিয়ে এসেছে তা অবশ্যই প্রসংসার দাবী রাখে। তিনি আরো বলেন, মানুষের আপদে বিপদে যারা পাশে থাকে তারাই প্রকৃত মানুষ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় সাম্প্রতিক পাহাড় ধ্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ বিলাইছড়ির ৬০টি পরিবারের প্রত্যেককে ৮৪ হাজার ১শত ৭৯ টাকা করে দেয়া হবে। ১ম পর্যায়ে ১০ হাজার এবং পর্যায়ক্রমে বাকী অর্থগুলো প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে এ অর্থের প্রথম অনুদান হিসাবে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারী ক্ষতিগ্রস্তদের ২য় কিস্তির অনুদানের টাকা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিলাইছড়ি বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬০টি পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। অন্যদিকে দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ এরপক্ষ থেকে ভুমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ রাঙামাটি সদরের ৫০টি এবং কাউখালী উপজেলার ৪০টি পরিবারকে সমপরিমান অর্থ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, বিদেশী দাতা সংস্থা দি স্যালভেশন আর্মী বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৮ টি দেশে আত্মমানবতার সেবায় কাজ করছে। ১৯৭২ সাল থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশে বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ প্রথম বারের মতো তারা কাজ শুরু করেছে।
1 মন্তব্য
Good work but their name seems fearful!